এআই এবং ডেটার যথাযথ ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা
ক.বি.ডেস্ক: শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বিশ্বের যেসব দেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডেটার যথাযথ ব্যবহার করতে পারবে; তারাই ভবিষ্যতে নেতৃত্বে থাকবে। প্রযুক্তি, বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাংলাদেশের শিক্ষাখাতকে রূপান্তরিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যেই রোবটিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক প্রকল্পে সাফল্য অর্জন করছে এবং বিশ্বব্যাপী তাদের দক্ষতা প্রমাণ করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) উদ্যোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ইনোভেশন ডায়লগ- ২০২৫’ শীর্ষক একটি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনারসের চেয়ারম্যান ইফতেখারুল ইসলাম, সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার, এনএসইউ’র ভিসি প্রফেসর আবদুল হান্নান চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর মোহাম্মদ কামরুল আহসান ও প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যামুয়েল মুরসালিন এবং বাংলাদেশ ব্রান্ড ফোরামের এমডি শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শিক্ষা ও উদ্ভাবনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা এবং জাতীয় প্রবৃদ্ধির জন্য একটি রূপান্তরমূলক কাঠামো তৈরি করার উদ্দেশ্য নিয়ে এই দিনব্যাপী আয়োজনে শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক, উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঁচটি প্যানেল আলোচনা এবং একটি প্ল্যানেটারি সেশনের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এই ডায়লগের বিভিন্ন প্যানেলে মূল বিষয় ছিল শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি কার্যকরি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম, শিক্ষার্থীদের দক্ষতার উন্নয়ন, সামাজিক উদ্ভাবনে গুরুত্বারোপ এবং উদ্ভাবনী-বান্ধব অর্থায়নসহ বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয়। এই সেশনগুলোয় বিভিন্ন আলোচনা ও প্রস্তাবনার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা নির্ধারণের চেষ্টা করেছেন কীভাবে দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরের সমন্বিত প্রচেষ্টায় একটি উদ্ভাবনী-বান্ধব শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা যায়।