শুরু হলো নাসা স্পেস অ্যাপস কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ
শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের বিশেষ ইভেন্ট ‘নাসা স্পেস অ্যাপস কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ’ এর ভার্চুয়াল হ্যাকাথন। ৪৮ ঘন্টাব্যাপী এই হ্যাকাথনে এবারও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের উদ্যোগে অংশগ্রহন করছে বাংলাদেশ।
নাসা বিশ্বব্যাপী প্রোগ্রামার, উদ্যোক্তা, বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, স্টোরিটেলার, মেকার, বিল্ডারস, প্রযুক্তিবিদসহ সবাইকে #স্পেসঅ্যাপস কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ ভার্চুয়াল গ্লোবাল হ্যাকাথনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানায়। তারই ধারাবাহিকতায় বেসিস এই আয়োজনে অংশ নেয়ার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানানো হয়। আগ্রহীরা ইতিমধ্যেই covid19.spaceappschallenge.org ওয়েবসাইটে গিয়ে ভার্চুয়াল টিম গঠন করেছে এবং নাসার ওপেনসোর্স আর্থ অবজারভেশন ডাটার মাধ্যমে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ সমাধানের উপায় উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, সারা পৃথিবীতে এখন করোনার দুযোর্গ চলছে। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় কী কী পন্থা ও কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে, এই সময় যে বৈশ্বিক ব্যবসায়িক মন্দা চলছে সেটি কাটিয়ে উঠার জন্য কী করতে হবে এবং দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে আমাদের করণীয় কী সেসব বিষয় নিয়ে ৩০ ও ৩১ মে নাসা স্পেস অ্যাপস কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দেশের সকল শিক্ষার্থীদের আইডিয়া ও উদ্ভাবনগুলো এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে স্বত:স্ফূর্তভাবে নিবন্ধন করারে আহবান জানাই ।আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের নতুন নতুন কৌশল ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমরা কতোটা এগিয়ে আছি,সেটি সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে পারবে।
বেসিসের পরিচালক ও বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের আহ্বায়ক দিদারুল আলম সানি বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারও আমরা নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করছি। চলমান মহামারিকে বিবেচনায় রেখে এবার চারটি বিষয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এগুলো হলো- লোকাল রেসপন্স/চেঞ্জ অ্যান্ড সলিউশন; ইমপ্যাক্ট অব কোভিড-১৯ অন দ্য আর্থ সিস্টেম/আর্থ সিস্টেম রেসপন্স; লার্নি অ্যাবাউট দ্য ভাইরাস অ্যান্ড ইটস স্প্রেড ইউজিং স্পেস-বেইজড ডাটা এবং ইকোনমিক অপরচুনিটি ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড রিকোভারি ডিউরিং অ্যান্ড ফলোয়িং কোভিড-১৯। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের নিয়মিত আয়োজন বরাররের মতো এবারও অনুষ্টিত হবে।
৩০ ও ৩১ মে নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) এবং জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জেএএক্সএ) এই ভার্চুয়াল হ্যাকাথনের আয়োজন করছে। ৪৮ ঘন্টার বিরতিহীন এই আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অংশগ্রহণকারীরা তার উদ্ভাবনকে উপস্থাপন করবে। এবারের চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে কোভিড-১৯ ও এর বিস্তারে আর্থ সিস্টেমে কী প্রভাব পড়ে সেটি খুঁজে বের করা ও সমাধানের উপায় উদ্ভাবন করা। এছাড়া হ্যাকাথনে এই ভাইরাসের ফলে মানুষ ও অর্থনীতির উপর কী প্রভাব পড়ছে সেটিও পরীক্ষা করা হবে।
হ্যাকাথনের আগ পর্যন্ত ওয়েবসাইটের অনলাইন চ্যাট রুমের মাধ্যমে অন্য অংশগ্রহণকারীদের সাথে যোগাযোগ করা এবং দলের সদস্য খুঁজে বের করা যাবে। বিস্তারিত উল্লেখিত ওয়েবসাইট ও স্পেস অ্যাপসের টুইটার (@SpaceApps) ফিডে পাওয়া যাচ্ছে।