অপতথ্য ও অসত্য তথ্য প্রতিরোধ সভা অনুষ্ঠিত
ক.বি.ডেস্ক: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশে অপতথ্য, গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে সমন্বিত, আধুনিক ও সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি-বেসরকারি ফ্যাক্ট-চ্যাকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত ডেটাবেস তৈরি, যাচাইকৃত কনটেন্ট দ্রুত প্রচার এবং ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হবে বলে মতামত ব্যক্ত করা হয়।
গতকাল সোমবার (১৭ নভেম্বর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আব্দুন নাসের খান, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা, পিআইবির ডিজি ফারুক ওয়াসিফ সহ বিটিআরসি, বাসস, ডিজিএফআই, এনএসআই, এনটিএমসি, ডিবি, তথ্য অধিদফতর, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, ডিএমপি, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর, পিআইবি এবং বিভিন্ন ফ্যাক্ট-চ্যাকার গ্রুপের এর সদস্যরা।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “নির্বাচনকালীন সঠিক তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা গণতন্ত্র ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি। অপতথ্য এখন শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, সামাজিক স্থিতিশীলতা ও নির্বাচন ব্যবস্থায় আস্থা ক্ষুণ্ণ করতে পারে। এ জন্য প্রযুক্তিগত সক্ষমতা, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া পরিচালনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অপতথ্য প্রতিরোধে প্রযুক্তিগত সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে করেন। নির্বাচনকালীন জেলা উপজেলায় কমিটি গঠন করে আন্ত:সমন্বয়ের মাধ্যমে অপতথ্য ও অসত্য তথ্য প্রতিরোধ করতে হবে।”
মাহবুবা ফারজানা বলেন, “নির্বাচনকালীন সময় সারাদেশের মসজিদ, মন্দির, গির্জা সহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অপ তথ্য ও অসত্য তথ্য বিষয়ে জনসচেতনতা মূলক আলোচনা করার পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষক, মাদ্রাসার শিক্ষক এবং মসজিদের ইমামদের এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে।”
সভায় বক্তারা বলেন, “ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স, টিকটকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ চ্যানেল সক্রিয় করা, যাতে জরুরি কনটেন্ট দ্রুত অপসারণ বা যাচাই করা যায়। অপতথ্য, অসত্য তথ্য প্রতিরোধে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং সেল এর কার্যক্রম শুরু করতে হবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রতিদিন বিভিন্ন ফ্যাক্ট চ্যাক প্রচারের পাশাপাশি সারাদেশে স্থাপিত ডিসপ্লে বোর্ডগুলোতে অসত্য এবং অপতথ্য বিষয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।”
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও আইসিটি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে গণমাধ্যম, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং এসএমএসের মাধ্যমে নাগরিকদের সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করার বিষয়টি সভায় আলোচনা হয়। নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য রাখতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি গণমাধ্যম, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন।





