২২-২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩’
ক.বি.ডেস্ক: প্রথমবারের মতো দেশের সাতটি বিভাগীয় পর্যায়ের বিপিও সামিট শেষে আগামী ২২-২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩’। রাজধানীর ইন্টার কন্টিনেন্টালের রূপসী বাংলা বল রুমে পঞ্চম বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে এবারের সম্মেলন। এ আয়োজনের মাধ্যমে আইসিটি শিল্প বিকাশে আইসিটি পণ্য ও সেবা প্রদর্শনী, বিপিও খাতের অর্জন/সাফল্য ও সম্ভাবনা উপস্থাপন, আইসিটি বিষয়ক সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন, ই-গভর্নেন্স, ই-কমার্স, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে দেশের অর্জিত সাফল্য বিশ্ববাসীসহ বাংলাদেশের জনগণের কাছে তুলে ধরা হবে
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) এর উদ্যোগে এবং আইসিটি অধিদপ্তর ও বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল এর সহযোগিতায় আয়োজিত হচ্ছে ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩’।
আজ বুধবার (১৯ জুলাই) ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩’ এর আয়োজক বাক্কো তাদের বনানী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বাক্কো’র সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাক্কো’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানজিরুল বাসার, পরিচালক এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবু ও ফজলুল হক। সভাপতিত্ব করেন বাক্কো’র সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় আগামী ২২ জুলাই শনিবার ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩’ এর উদ্বোধন করবেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করবেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। উপস্থিত থাকবেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন ও আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামাল।
আগামী ২৩ জুলাই রবিবার ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩’ সম্মেলনের সমাপনীতে প্রধান অতিথি থাকবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি থাকবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
বিপিও সামিট এর সম্মেলনে বিপিও খাতের ৯টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দিনেই অনুষ্ঠিত হবে ৪টি সেমিনার। আর দ্বিতীয় দিনে ৫টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনলাইনেও চলবে সেমিনারগুলো। দেশী বিদেশী আলোচকরা সেমিনারে বাংলাদেশের বিপিও খাতে ২০২৫ সালের মধ্যে এক লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান এবং ১ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চ্যালেঞ্জ ও প্রস্তুতিসহ সমসাময়িক তথ্য ও প্রযুক্তিসংক্রান্ত অনেক বিষয়ে আলোকপাত করবেন। মুক্তপেশাজীবি থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার কৌশলও উপস্থাপন করবেন তারা।
তৌহিদ হোসেন বলেন, বিভাগীয় শহরগুলোতে অনুষ্ঠিত বিপিও সামিট এ আড়াই হাজারেরও বেশি চাকরির আবেদন জমা পড়েছে। চাকরির আবেদন করা তরুণ-তরুণীদের বিপিও খাতের উপযোগী করে গড়ে তুলতে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। ঢাকাতেও দুই দিনের সম্মেলনে আগ্রহী চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করা হবে।
ওয়াহিদ শরীফ বলেন, এবারের সম্মেলনে বিপিও খাত নিয়ে নয়টি সেমিনার থাকছে। সেমিনারগুলোয় ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের বিপিও খাতে এক লাখ লোকের কর্মসংস্থান এবং ১০০ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চ্যালেঞ্জ ও প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। মুক্তপেশাজীবী (ফ্রিল্যান্সার) থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার দিকনির্দেশনাও পাওয়া যাবে। এবারই প্রথম বিপিও সামিটের সেমিনারগুলো অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার করা করা হবে।
বাক্কো দেশের বিপিও/আউটসোর্সিং শিল্পের জন্য একক ও কেন্দ্রীয় বাণিজ্য সংস্থা। বাক্কো প্রথমবারের মতো কর্মসংস্থান সুযোগ বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে দুই মাসব্যাপী দেশের সাতটি বিভাগীয় শহরে আয়োজন করেছে বিভাগীয় বিপিও সামিট। বর্তমানে বাক্কো’র সদস্য প্রতিষ্ঠান ৩১৫টি। যারা প্রতিনিয়ত বৈদশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে চলেছে। এ খাতে কর্মরত আছে প্রায় ৭০ হাজার তরুণ তরুণী। এ শিল্পখাত থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার আয় করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০২৫ সালের মধ্যে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাজস্ব আয় এবং ১ লক্ষ তরুণ তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চায় বাক্কো।
বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০২৩ এর প্ল্যাটিনাম স্পন্সর আয়েশা সার্ভিসেস লিমিটেড, এডিএন টেলিকম লিমিটেড, জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড এবং সিনার্জি সলিউশন্স। গোল্ড স্পন্সর ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক লিমিটেড, উইজডম ভ্যালি লিমিটেড। সিলভার স্পন্সর স্কাইটেক সলিউশন্স।