২০২১-২২ অর্থবছরে বিএসসিসিএল’র আয় ৪শত ৪১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা
ক.বি.ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪শত ৪১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আয় করেছে। প্রতিষ্ঠানটির গত অর্থবছরে করপরবর্তী নীট মুনাফা হয়েছে ২শত ৫০ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকার ৫৬ কোটি টাকা লভ্যাংশ পেয়েছে। বিএসসিসিএল’র গত পাঁচ বছর আগে রাজস্ব আয় ছিল ১ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
আজ শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি হোটেল আয়োজিত বিএসসিসিএল’র বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে এই তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজম আলী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানে বিএসসিসিএল’র চেয়ারম্যান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান, বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ এবং টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমানসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানিকে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। সাবমেরিন ক্যাবল দেশের অত্যন্ত অপরিহার্য টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশ ও জনগণের প্রতি সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির দায় রয়েছে। এই লক্ষ্যে জনগণের নিকট সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট সরবরাহে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০০৮ সালে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউডথের মূল্য ছিল ২৭হাজার টাকা, যা বর্তমানে বর্তমানে মাত্র ২শত ৪০ টাকায় নামিয়ে এনেছি। বিনামাশুলে ১৯৯২ সালে বাংলাদেশে সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে ততকালীন সরকার বাংলাদেশকে ১৪ বছর তথ্যপ্রযুক্তি দুনিয়া থেকে পিছিয়ে রাখে। দেশে ২০০৮ সালে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো এবং ব্যবহারকারী ছিল মাত্র ৭ লাখ। বর্তমানে দেশে ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং ৩৮৪০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিএসসিসিএল এককভাবেই ২৪০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউডথ সরবরাহ করছে। অবশিষ্ট ব্যান্ডউডথ সরবরাহ করছে ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল কোম্পানীসমূহ।
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্য তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযুক্তি ডিজিটাল প্রযুক্তি দুনিয়ায় আরও একটি ঐতিহাসিক। ২০২৫ সাল নাগাদ দেশে ৬০০০ জিবিপিএস-এরও বেশি আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইডথের প্রয়োজন হতে পারে। আমাদের নিজস্ব চাহিদা মেটানোর পরও হাতে যথেষ্ট পরিমান ব্যান্ডউডথ আছে ও থাকবে। দেশে নেটওয়ার্কের বর্ধিত চাহিদা মিটিয়ে ফ্রান্স, সৌদি আরব ও ভারতের ত্রিপুরায় ব্যান্ডউইডথ রফতানি করা হচ্ছে। ভুটান ও নেপাল এবং ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে ব্যান্ডউডথ রপ্তানি করার বিষয়ে প্রক্রিয়া চলছে। তৃতীয় সাবমেরিন সংযোগ সম্পন্ন হলে ২০২৫ সালে অতিরিক্ত আরও প্রায় ১৩২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউডথ সংযুক্ত হবে। প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলে আরও ৩৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউডথ সংযুক্ত হচ্ছে।