স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে ‘সরকারি ক্রয় বাতায়ন’
ক.বি.ডেস্ক: ‘সরকারি ক্রয় বাতায়ন’ এর মাধ্যমে সরকারি ক্রয়ের নানা তথ্য নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এই পোর্টাল থেকে ক্রয় সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক জানতে পারছেন নাগরিকরা। নাগরিক, নীতিনির্ধারক, ক্রয়কারী, দরপত্রদাতা ও বিশেষজ্ঞসহ যে কেউ এখান থেকে তথ্য নিয়ে সরকারি ক্রয় পর্যবেক্ষণে ভূমিকা রাখতে পারেন। এর মাধ্যমে সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আরও অনেক বাড়ানো সম্ভব।
আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) আয়োজিত ‘সরকারি ক্রয়ে নাগরিকদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সিটিজেন পোর্টাল’ সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সিপিটিইউ’র পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডিনেটের ব্যবস্থাপনায় এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সিপিটিইউউ’র ডাইম্যাপ প্রকল্পের আওতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন আইএমইডি’র সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বব্যাংকের লিড প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট নাগারাজু দুথালুরি। বক্তব্য রাখেন সিপিটিইউ’র পরিচালক মির্জা আশফাকুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন সিপিটিইউ’র মহাপরিচালক মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সরকারি ক্রয়ে নাগরিক সম্পৃক্ততা ও সরকারি ক্রয় বাতায়ন বিষয়ে একটি উপস্থাপনা দেন ডিনেটের ডাটা এনাটিলিকিস এক্সপার্ট আন্দালিব বিন হক। টেকসই সরকারি ক্রয়নীতি প্রয়োগ বিষয়ে উপস্থাপনা দেন বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, সরকারি ক্রয়কারী সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, ব্যবসায়ী সংগঠন, গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, সরকারের লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবছর উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে সরকারি ক্রয়ে ব্যয়ের পরিমাণ। বর্তমানে জাতীয় বাজেটের প্রায় এক তৃতীয়াংশ এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ৮০ শতাংশই ব্যয় হচ্ছে সরকারি ক্রয়ে। বড় অঙ্কের এই ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে নাগরিক সম্পৃক্ততা। কারণ নাগরিকদের অর্থে ও তাদের জন্যই এই সরকারি ক্রয়।