উদ্যোগ

সেমিকন্ডাক্টর খাতে একসঙ্গে কাজ করবে বিএসআইএ ও এইচএসআইএ

ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশ ও চীন সেমিকন্ডাক্টর খাতে সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআইএ) এবং হুবেই সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (এইচএসআইএ)-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে জ্ঞান ও উন্নত প্রযুক্তি বিনিময়, যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম, দ্বি-পাক্ষিক বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব, যৌথ ইভেন্ট, এক্সপো আয়োজনের ক্ষেত্রে বিএসআইএ এবং এইচএসআইএ একসঙ্গে কাজ করবে।

গতকাল রবিবার (২৪ আগস্ট) ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএসআইএ’র সভাপতি এম এ জব্বার এবং এইচএসআইএ’র সহসভাপতি প্রফেসর ওয়েই লিউ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসআইএ অ্যাডভাইজরি প্যানেলের সদস্য ড. রোকনুজ্জামান, বুয়েটের অধ্যাপক ড. এ এস এম এ হাছিব, সিনিয়র অ্যাডভাইজার এনায়েতুর রহমান, পরিচালক কামরুল আহসান দেওয়ানজি, আলিয়া শফকাত, আশিকুর রহমান তানিম, তাফুরি টেকনোলজিসের সিইও শাখাওয়াত হোসেন, সিলিকোনোভার সিইও সিরাজুল আলম খান, প্রাইম সিলিকনের সিইও তারেক খান।

ওয়েই লিউ বলেন, “উহানকে বলা হয় চীনের অপটিক্যাল ভ্যালি যেখানে শত শত অপটিক্যাল যোগাযোগ ও সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি রয়েছে। ৬০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রায় ১৩ লক্ষ শিক্ষার্থী নিয়ে উহান প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের একটি শক্তিশালী কেন্দ্র। বাংলাদেশের রয়েছে বিপুল মেধাবী জনশক্তি, যা শুধু প্রযুক্তি বিনিময় নয় বরং প্রকৌশলী প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা-গবেষণা সহযোগিতায় অসাধারণ সম্ভাবনা তৈরি করবে। এইচএসআইএ-এর অধীনে প্রায় ৫০০টি সেমিকন্ডাক্টর সদস্য কোম্পানি রয়েছে, যার মধ্যে কিছু কোম্পানিকে আমরা বাংলাদেশে নিয়ে এসে যৌথ উদ্যোগ, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচিতে যুক্ত করতে চাই।”

এম এ জব্বার বলেন, “এই সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক সুদৃঢ় করার পাশাপাশি একাডেমিক বিনিময় এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির নতুন দ্বার উন্মুক্ত করবে। এটি বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর ভ্যালু চেইনে আমাদের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করবে।”

এই সহযোগিতা বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেমের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং নবতর উদ্ভাবন ও সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। বাংলাদেশকে বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেমে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান অর্জনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত করবে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *