সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি’র ব্যর্থতার দায় গ্রাহকদের কাঁধে কেন?
ক.বি.ডেস্ক: ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে গ্রাহকরা কাজ করতে পারছে না। তীব্র গরমের কারণে যেখানে বলা হচ্ছে ঘরে থেকে অনলাইনে অফিস, আদালত, ব্যাংক এবং বিভিন্ন সেবা এবং শিক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সেখানে ব্যান্ডউইডথ সরবরাহের ঘাটতির কারণে ইন্টারনেটে ধীরগতির ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রাহক।
অথচ গ্রাহক কিন্তু মাস শেষে ব্রডব্যান্ড সেবা বা মোবাইল ডাটা ক্রয় করার জন্য সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় করছেন ঠিকই। বিপরীতে তারা কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না। এর দায় কে নেবে তাহলে? বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যর্থতার দায় গ্রাহকের কাঁধে কেন এ প্রশ্ন তুলেছেন গ্রাহক অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ ১২ দিন অতিবাহিত হলো সাবমেরিন ক্যাবল (সি-মি-উই-৫) কেবল কোম্পানির ক্যাবলের ত্রুটির। গতকাল আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাবমেরিন কেবল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তা ব্যক্তিদের যে বক্তব্য লক্ষ্য করেছি তা অত্যন্ত দুঃখজনক। গ্রাহকের ভোগান্তির জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ না করে এবং দ্রুত সমস্যার সমাধান এর উদ্যোগ না নিয়ে তারা এখন বলছে আরও এক মাস সময় লাগবে। কিন্তু তাদের ব্যর্থতার দায় গ্রাহকরা কেন নেবে?
আমরা মনে করি এর সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব নিতে হবে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানিকে। একই সাবমেরিন ক্যাবল থেকে আরও ১৫টি দেশ সেবা কার্যক্রম পুরোদমে নিতে পারলেও ১৬তম দেশ বাংলাদেশ নিতে পারছে না কেন? নিশ্চয়ই তাহলে তাদের চুক্তিতে বড় রকমের কোন ত্রুটি রয়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে এমন কি ডাক টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে কোন বিবৃতি প্রদান করা হয়নি। পররাষ্ট্র পর্যায়ে কোন আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে সেটাও আমরা লক্ষ্য করিনি।
অথচ প্রতিদিন হিট স্টোকে অনেক প্রাণহানি ঘটলেও অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দ্রুতগতির ইন্টারনেট সরবরাহ করতে সাবমেরিন কেবল কোম্পানির কোনো উদ্যোগ নেই যা দুঃখজনক এবং হতাশা জনক। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে এ ধরনের ব্যবস্থাপনা মোটেও থাকা উচিত নয়। যেখানে বলা হচ্ছে আগামী ২০৩০ সালে ব্যান্ডউইডথের ব্যবহার গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ১৫ হাজার জিপিপিএস সেখানে দুটি সাবমেরিন কেবল দিয়ে এই চাহিদা পূরণ করা মোটেও সম্ভব নয় তার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেয়া উচিত।
আমরা সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং আইসিটি উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং দ্রুত সমস্যার সমাধান করার জন্য অনুরোধ করছি।