সাইবার নিরাপত্তায় দক্ষতার ঘাটতি প্রতিষ্ঠান এবং গ্রাহকদের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি
ক.বি.ডেস্ক: সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সফোস সম্প্রতি “এমএসপি পার্সপেক্টিভস ২০২৪” প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, সাইবার নিরাপত্তার পরিষেবা ম্যানেজড সার্ভিস প্রোভাইডারস (এমএসপি) এর ক্ষেত্রে নতুন সব সাইবার সিকিউরিটি সলিউশন/প্রযুক্তিগুলোর সঙ্গে খাপ খাওয়ানো একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠেছে। ৩৯ শতাংশ এমএসপি সেবার ক্ষেত্রে এমনটি দেখা যায়। এ ছাড়া, গ্রাহক বৃদ্ধি হওয়ার কারণে এবং নতুন সাইবার হুমকি মোকাবিলা করতে সাইবার সিকিউরিটি বিশ্লেষক নিয়োগ করাও অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ।
জরিপটিতে আরও দেখা যায়, এমএসপি পরিষেবাগুলোর ইন-হাউস সাইবার সিকিউরিটি দক্ষতার ঘাটতি থাকলে সেটি ব্যবসা এবং গ্রাহক উভয়ের জন্যই অনেক বড় সাইবার সিকিউরিটি ঝুঁকি তৈরি করে। এ ছাড়া, তথ্য বা ডেটাবেজে, ক্রেডেনশিয়ালে অ্যাক্সেস চুরি এবং আনপ্যাচ ভারনারিবিলিটি বা দুর্বল জায়গাগুলো গ্রাহকদের জন্য সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি হয়ে ওঠে। সর্বশেষ স্টেট অব র্যানসমওয়্যার ২০২৪ এর প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, প্রায় এক তৃতীয়াংশ (২৯%) র্যানসমওয়্যার আক্রমণ শুরু হয়েছিল কম্প্রোমাইজড ক্রেডেনশিয়ালের মাধ্যমে।
এই জটিল হুমকিগুলো মোকাবিলা করতে, ম্যানেজড ডিটেকশন রেসপন্স (এমডিআর) পরিষেবাগুলোর চাহিদা বাড়ছে। বর্তমানে ৮১ শতাংশ এমএসপি এমডিআর পরিষেবা দিচ্ছে এবং যারা এমডিআর সেবা ব্যবহার করছে না, এমন ৯৭ শতাংশ এমএসপি ভবিষ্যতে তাদের পোর্টফোলিওতে এমডিআর পরিষেবা যুক্ত করার পরিকল্পনায় আছে। জরিপ অনুযায়ী এমএসপি পরিষেবা প্রদানকারীরা আরও মনে করে, সাইবার সিকিউরিটির সকল টুলসগুলো একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে পরিচালনা করতে পারলে, প্রতিদিন তা ৪৮ শতাংশ সময় বেঁচে যায়।
এমএসপি পার্সপেক্টিভস ২০২৪ রিপোর্টের জন্য ডেটা যুক্তরাষ্ট্র (২০০) যুক্তরাজ্য (৫০) জার্মানি (৫০) এবং অস্ট্রেলিয়া (৫০) থেকে মোট ৩৫০ এমএসপির ভেন্ডরদের উপর জরিপ করা হয়েছে। সফোসের এই সমীক্ষায় আরও যুক্ত ছিল গবেষণা সংস্থা ভ্যানসন বোর্ন ।