সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়ন করা হবে
ক.বি.ডেস্ক: স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ, ইন্ডাস্ট্রি ব্র্যান্ডিং, পলিসি সহায়তা ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে সরকার ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করবে সরকারের আইসিটি বিভাগ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, নীতিমালা তৈরি ও সংশোধন, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, বিনিয়োগ এবং সমন্বয় এই পাঁচটি বিষয়ে কাজ করা হবে।
গতকাল রবিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে আইসিটি বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এর নেতৃত্বে বেসিসের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি এ বিষয়ে যৌথ সম্মতি প্রকাশ করে আইসিটি বিভাগ এবং বেসিস।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক মো. খায়রুল আমীন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাঈদ চৌধুরী, এটুআইর প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মো. হুমায়ুন কবির, ইডিজিই প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মেহেদী হাসান, আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সামিরা জুবেরি হিমিকা, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান, সহ-সভাপতি (অর্থ) ফাহিম আহমেদ, পরিচালক আহমেদুল ইসলাম বাবু, মুশফিকুর রহমান, তানভীর হোসেন খান, মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল ও রাশাদ কবির প্রমুখ।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে মাত্র ১৩ বছরে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। সরকার প্রয়োজনীয় পলিসি সহায়তার মাধ্যমে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তিকে ‘বর্ষপণ্য’ ঘোষণার মাধ্যমে এই খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই সুযোগ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বেসিসকে সঙ্গে নিয়ে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, নীতিমালা তৈরি ও সংশোধন, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, বিনিয়োগ এবং সমন্বয় এই পাঁচটি বিষয়ে কাজ করা হবে। এ ছাড়া অর্থমন্ত্রীর কাছে কর্পোরেট ট্যাক্স মওকুফের সময়সীমা ২০৩০ পর্যন্ত বর্ধিত করার দাবি জানানো হবে। ইতিমধ্যেই বিষয়ভিত্তিক কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নে আইসিটি বিভাগ এবং বেসিসের সমন্বয়ে আলাদা আলাদা ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি করে দেয়া হয়েছে। সমন্বিত এসব উদ্যোগের মাধ্যমেই রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ‘ইনোভেটিভ বাংলাদেশ’ এ রূপান্তর হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ।
রাসেল টি আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে এতোটাই গুরুত্ব দেন যে তাঁরা না চাইতেই এই খাতের জন্য সহায়ক নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বছরের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তিকে বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। একইসঙ্গে সরকার ২০৪১ রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। ২০২৫ সালের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এক্ষেত্রে বেসিসসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাত অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের জন্য এটি একদিকে যেমন সুযোগ ও সম্ভাবনা, তেমনিভাবে এটি একটি গুরুদায়িত্ব। আমরা সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে সেই দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে কাজ করবো।