শেষ হল বাংলাদেশ ক্লাইমেট সায়েন্স অলিম্পিয়াড-২০২১
ক.বি.ডেস্ক: প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট সায়েন্স অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহনের প্রস্তুতির উদ্দশ্যে ‘‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট সায়েন্স অলিম্পিয়াড ২০২১’’ এর পাঁচ দিনব্যাপি ক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠান গতকাল শুক্রবার (৩০ জুলাই) অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীরা ১৩ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য ‘আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট সায়েন্স অলিম্পিয়াড’ এর অনলাইন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরি, বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, প্রফেসর ড. ইজাজ হোসেন, বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সহ-সভাপতি মুনির হাসান ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী।
অনুষ্ঠানে মুনির চৌধুরি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে অলিম্পিয়াড অনেক প্রশংসনীয়। প্যানডেমিক সমস্যা শেষ হলে তিনি এই ক্যাম্পারদের নিয়ে আবাসিক ক্যাম্প এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চল ঘুরিয়ে দেখানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনকে আমাদের মেধা,জ্ঞান এবং বুদ্ধি দিয়ে সম্মুখীন করতে হবে। আমাদের ছেলেমেয়েরা আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডগুলোতে অনেক ভালো করছে। তাদের একটু সুযোগ করে দিলেই তারা অনেক ভাল অর্জন এনে দিতে পারবে।
ড. ইজাজ হোসেন বলেন, আজকের তরুন প্রজন্ম ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াভহ ফলাফলের সম্মুখীন হবে। তাদেরকে এখন থেকে প্রস্তুত হতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য গরীব দেশগুলো দায়ী না হলেও এর ফলাফল সবাইকে ভোগ করতে হবে।
ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী বলেন, তরুন সমাজের ও স্কুলপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতনতা অনেক জরুরী। সেজন্য আমরা তাদের জন্য বাংলাদেশে জলবায়ু উতসব আয়োজন শুরু করেছি।
মুনির হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকেই তার যায়গা থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে কাজ করতে হবে। স্ক্রিন আসক্তি কমিয়ে কিভাবে আরও ভাল ভাবে বাস্তব যোগাযোগ ও পড়াশোনা চালানো যায় সেটা খুঁজে বের করতে হবে।
গত ১৬ জুলাই বাংলাদেশ ক্লাইমেট সায়েন্স অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হয়। দেশের সকল জেলা হতে ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করে। প্রথম রাউন্ডে প্রায় ১৪০০ জন শিক্ষার্থী থেকে জাতীয় পর্বের জন্য মোট ২৫০ জনকে নির্বাচিত করা হয়। জাতীয় পর্বের অংশগ্রহণকারীদের থেকে মোট ৫০জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এই ৫০ জন বিজয়ীকে নিয়ে গত ২৬ থেকে ৩০ জুলাই ৫ দিনব্যাপী অনলাইনে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ক্লাইমেট সায়েন্স অলিম্পিয়াডের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি।