শুরু হলো হুয়াওয়ের ‘উইমেন ইন টেক’ প্রতিযোগিতা
ক.বি.ডেস্ক: ‘টেক ফর হার, টেক বাই হার, টেক উইডথ হার’ স্লোগানে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নারীদের জন্য আইসিটি বিষয়ক প্রতিযোগিতা ‘‘উইমেন ইন টেক’’ নিয়ে এসেছে হুয়াওয়ে। আইসিটি খাতে প্রতিভা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখতে এবং নারীদের মাঝে এই খাত সংক্রান্ত জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে এই আয়োজন। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া নারী শিক্ষার্থী কিংবা গত দুই বছরের মধ্যে স্নাতক সম্পূর্ণ করেছে এমন নারীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই প্রতিযোগিতার কৌশলগত সহযোগী ইউনেস্কো।
উইমেন ইন টেক
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে নিবন্ধন প্রক্রিয়া উন্মুক্ত করা হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে witbd@huawei.com -এ সিভি পাঠিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের পর, আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হবে। পরবর্তীতে, শীর্ষ ৫০ জন মনোনীত আবেদনকারী হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে আট দিনের (অফলাইন এবং অনলাইন) বুট ক্যাম্প প্রশিক্ষণে যোগদান করবেন।
পরবর্তী পর্যায়ে, হুয়াওয়ে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে ভিন্ন-ভিন্ন দল গঠন করবে। এরপর মেন্টরদের সংশ্লিষ্টতায় এই দলগুলো তিন মাসব্যাপী প্রকল্প এবং ধারণা উপস্থাপনা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে, যার ফলাফলের ভিত্তিতে সেরা তিন বিজয়ীর/দলের নাম ঘোষণা করা হবে। ছয় মাসব্যাপী এই অনুষ্ঠানের চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার হিসেবে পাবে তিন লাখ টাকা। প্রথম এবং দ্বিতীয় রানার আপ পাবে যথাক্রমে দুই লাখ ও এক লাখ টাকা। বিজয়ীরা চীনে হুয়াওয়ের সদর দফতরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি, ভিসি ও এঞ্জেল ইনভেস্টরদের সঙ্গে দেখা করার ও তাদের ধারণা উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রকল্প শুরুর ক্ষেত্রে প্রাথমিক বিনিয়োগ লাভের সুযোগ পাবেন।
সম্প্রতি ঢাকায় অবস্থিত হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে ‘উইমেন ইন টেক ২০২৩’ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং এবং ইউনেস্কো ঢাকা কার্যালয়ের অফিসার ইন চার্জ সুজান ভাইজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, বুয়েটের সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মাহমুদা নাজনীন এবং বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া।
মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, চাকরির বাজারে আমাদের নারীদের সরব উপস্থিতি আছে এবং সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীরা যুক্ত হচ্ছে। আমাদের শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। কিন্তু আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে আমাদের পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, এশিয়ায় একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটছে। গত ৫০ বছরে একটি দেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটিতে পরিণত হয়েছে – সেই দেশটি হলো বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এ উন্নয়ন অর্জন করেছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। এই বিশাল জনসংখ্যা সম্পদে পরিণত করতে মানবসম্পদ উন্নয়নে মনোযোগ দিতে হবে, বিশেষ করে নারীদের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে অবশ্যই স্মার্ট নারী থাকতে হবে।
প্যান জুনফেং বলেন, আইসিটি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের নারীদের এদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা রয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে এবং এ দেশে নতুন প্রযুক্তিগত ও বাণিজ্যিক অগ্রগতি আনবে।
সুজান ভাইজ বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের লক্ষ্য অর্জনে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের অবদান নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘ওমেন ইন টেক’ নারীদের দক্ষতা প্রদর্শন এবং প্রযুক্তি খাতে নারী ও তরুণীদের অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করছে।