শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং গবেষণায় সহযোগিতায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফ্রান্স: প্রতিমন্ত্রী পলক
ক.বি.ডেস্ক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, রপ্তানি গন্তব্যের বৈচিত্র্যকরণ এবং রপ্তানি বাজারের বৈচিত্র্যকরণ করার নীতিকে আমরা অনুসরণ করছি। সে কারণেই তৈরি পোশাকের পর আইসিটি খাতকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে ফ্রান্স বিশ্বের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী দেশ। ফ্রান্স আমাদের শিক্ষা, প্রযুক্তি, বাণিজ্যিক উন্নয়ন এবং গবেষণার ক্ষেত্রে বড় ধরণের সহযোগিতা করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
আজ রবিবার (২৪ মার্চ) আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তাঁর দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুঁই এর সঙ্গে বৈঠককালে এসব আগ্রহের কথা জানান। এ ছাড়া তারা শিক্ষা, প্রযুক্তি, স্টার্টআপ, দক্ষতা উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহাকাশে আমাদের নিজেদের আর্থ অবজারভেটরি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। দেশের সকল তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, কৃষিজ উৎপাদনসহ অন্যান্য নিরাপত্তাসহ সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নিজস্ব স্যাটেলাইট প্রয়োজন। ইতোমধ্যে ফ্রান্স-বাংলাদেশ স্যাটেলাইট তৈরিতে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। আগামী ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ-ফ্রান্স যেভাবে একসঙ্গে কাজ করছে সেটা অব্যাহত থাকবে। শিক্ষা, প্রযুক্তি, বাণিজ্যিক উন্নয়ন, গবেষণা, সাইবার সিকিউরিটি এবং স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ফ্রান্স একসঙ্গে কাজ করবে।”
রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুঁই বলেন, “আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি পর্যালোচনা করছি, যেমন শিক্ষা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, ফিউচার স্টার্টআপ সামিট, যা শীঘ্রই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিমন্ত্রীর ফ্রান্স সফরের প্রস্তুতি, ফ্রান্সের অনেক আকর্ষণীয় সংস্থার সাথে বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা ভবিষ্যতের পর্যবেক্ষণ উপগ্রহ সম্পর্কে দুটি কোম্পানি, বিএসসিএল এবং এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস এর মধ্যে আলোচনার অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছি। বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম মহাকাশ রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।”