লুনা শামসুদ্দোহা’র ৬৮তম জন্মবার্ষিকী আজ
ক.বি.ডেস্ক: তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান দোহাটেক নিউ মিডিয়া ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান লুনা শামসুদ্দোহা’র ৬৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৫৪ সালের ৪ অক্টোবর ঢাকায় তিনি জন্মগ্রহন করেন। তার বাবার নাম লুতফার রহমান এবং মায়ের নাম হাসিনা রহমান। তিনি ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি এবং হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরবরর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
লুনা শামসুদ্দোহা গত বছর ২০২১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিতসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর। দেশে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোনো ব্যাংকের প্রথম নারী চেয়ারম্যান ছিলেন লুনা শামসুদ্দোহা। তিনি বাংলাদেশ ওমেন ইন টেকনোলজি’র (বিডাব্লিউআইটি) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। দেশের অর্থনীতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০১৭। একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে স্থানীয় সফটওয়্যার শিল্পে নিজের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অনন্যা টপ টেন অ্যাওয়ার্ড সম্মাননা লাভ করেছেন।
লুনা শামসুদ্দোহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে ১৯৭৮ সালে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ১৯৮৫ সালে যোগ দেন দ্য এক্সিকিউটিভ সেন্টারের ব্যবস্থাপনা সহযোগী হিসেবে। ১৯৯২ সালে দোহাটেক নিউ মিডিয়া প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার ব্যবসায়িক জীবনের সূচনা ঘটে এবং দেশের একজন আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার প্রতিষ্ঠান সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ই-গভর্নেন্স প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত, এর মধ্যে ই-জিপি সিস্টেম অন্যতম। ২০০৭-২০০৮ সালে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
এ ছাড়াও তার গড়া প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সংস্থা, সরকারি প্রতিষ্ঠান, করপোরেশনের সফটওয়্যার সলিউশন দিয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিশ্ব ব্যাংক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্রের পোস্টাল সার্ভিস ইত্যাদি। প্রতিষ্ঠানটি ডিজিটাল সার্টিফিকেট প্রদান করার ক্ষেত্রে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান।
লুনা শামসুদ্দোহা ২০১৩ সালে প্রযুক্তি খাতে নারীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির কারণে গ্লোবাল উইমেন ইনভেন্টরস অ্যান্ড ইনোভেটরস নেটওয়ার্ক (গুইন) সম্মাননা পান। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ বিজনেস ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা, সফটওয়্যার উদ্যোক্তা এবং সুইজারল্যান্ডের গ্লোবাল থট লিডার অন ইনক্লুসিভ গ্রোথের সদস্য ছিলেন।