রিয়েলমি নিয়ে আসছে ১০৮ এমপি’র ফোন!
ক.বি.ডেস্ক: রিয়েলমি প্রথমবারের মত স্মার্টফোনের সঙ্গে নিয়ে এসেছে ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। গতকাল মঙ্গলবার (২ মার্চ) অনুষ্ঠিত অনলাইন ক্যামেরা ইনোভেশন ইভেন্টে রিয়েলমি এইট সিরিজের ফোনের এই আকর্ষণীয় ফিচারটি উন্মোচিত হয়। বিশ্বের প্রথম টিল্ট-শিফট টাইম-ল্যাপ্স ভিডিও সুবিধা, স্টারি টাইম-ল্যাপ্স ভিডিও সুবিধা এবং দুর্দান্ত সব পোর্ট্রেট ফিল্টারের ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।
রিয়েলমি এইট সিরিজের প্রাইমারি ক্যামেরার সঙ্গে ১০৮ মেগাপিক্সেল সেন্সর এইচএম২, নাইন-ইন-ওয়ান পিক্সেল বিনিং, আইএসওসেল প্লাস এবং স্মার্ট-আইএসও যুক্ত করেছে। ইন-সেন্সর জুম প্রযুক্তির মাধ্যমে জুমকৃত অংশের ছবি স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলতে প্রয়োজন হবে কেবলমাত্র ১২ মেগাপিক্সেল। ক্ল্যারিটি এনহ্যান্সমেন্ট অ্যালগরিদমের সাহায্যে ছবিকে প্রসেস করার পর এর মান অনেক অপটিক্যাল টেলিফটো লেন্সের ছবির চেয়েও উন্নততর হয়ে ফুটে উঠবে ব্যবহারকারীদের গ্যালারিতে।
স্টারি ফটোভিত্তিক একটি টাইম-ল্যাপ্স ভিডিও অ্যালগরিদমের মাধ্যমে রিয়েলমি প্রথমবারের মত তাদের এই ক্যামেরাটি নিয়ে এসেছে। এটি ৪৮০ সেকেন্ডের মধ্যে ৩০টি ছবি তোলার মাধ্যমে একটি ১ সেকেন্ডের টাইম-ল্যাপ্স ভিডিও প্রস্তুত করতে পারে। ক্যামেরাটির প্রযুক্তিগত আধুনিকতা, একে সাধারণ সময়ে চলমান যেকোনো ধারণকৃত দৃশ্যকে ৪৮০ গুণ দ্রুত প্রদর্শন করতে সক্ষম।
এর টিল্ট-শিফট লেন্সের সমন্বয়ে যেকোনো ছবির একটি নির্দিষ্ট অংশকে পরিষ্কার এবং বাকিসব অংশকে ব্লার বা ফোকাসের বাইরে রাখা সম্ভব, যার মাধ্যমে যেকোনো সাধারণ ছবিতেই একটি মিনিয়েচার ওয়ার্ল্ডের আবহ তৈরি করা সম্ভব। একই সঙ্গে যেকোনো ছবিকে শতভাগ মনের মত করে ক্যাপচার করার জন্য টিল্ট-শিফট মোডের সঙ্গে রয়েছে আকার-আকৃতি, কোণ, অবস্থান, বোকেহ ইফেক্টের আকার এমনকি বোকেহ এরিয়া এবং পরিষ্কার এরিয়ার মধ্যকার ট্রান্সিশন ইফেক্টেও নিজের পছন্দ মত সম্পাদনার সুযোগ।
এইট সিরিজের স্মার্টফোনে থাকবে নতুন সব পোর্ট্রেট ফিল্টার। নিয়ন পোর্ট্রেট, ডায়নামিক বোকেহ পোর্ট্রেট এবং এআই কালার পোর্ট্রেট। এই তিনটি আইকনিক ফিল্টারের সমন্বয়ে রিয়েলমি এইট সিরিজের স্মার্টফোনে তোলা ছবি হয়ে উঠবে আরও বেশি প্রাণবন্ত। রিয়েলমি এইট সিরিজের ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা প্রযুক্তিগত দিক থেকে আসলেই ট্রেন্ডসেট করেছে। খুব শিগগিরই দেশের বাজারে এইট সিরিজের অত্যাধুনিক স্মার্টফোনগুলো উন্মোচন করা হবে বলে ধারণা করছেন প্রযুক্তিপ্রেমীরা।