রবি ‘ডেটাথন ৩.০’ এ চ্যাম্পিয়ন টিম ‘এসিআই সার্ভার ডাউন’
ক.বি.ডেস্ক: জমকালো গালা নাইটের মাধ্যমে শেষ হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ডেটা সায়েন্স প্রতিযোগিতা ‘ডেটাথন ৩.০’ এর চূড়ান্ত পর্ব। ডেটাথনে অংশগ্রহণকারীরা ডেটাভিত্তিক সমস্যা সমাধান ও মেশিন লার্নিংয়ে দক্ষতা প্রদর্শন করেছে, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ডেটা বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়।
রবি আজিয়াটা লিমিটেড আয়োজিত ডেটাথন ৩.০-এর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম ‘এসিআই সার্ভার ডাউন’ পেয়েছে ৫ লাখ টাকা সমমূল্যের পুরস্কার। প্রথম রানার আপ হয়েছে টিম ‘ইয়েলো কিং’ পেয়েছে ৩ লাখ টাকা পুরস্কার এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে টিম ‘বিগ ডেটা এআই ডেটা সায়েন্স’ পেয়েছে ২ লাখ টাকার পুরস্কার।
গতকাল সোমবার (৩ জুন) রাজধানীর বিআইসিসি’তে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজয়ী তিন দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। এ সময় রবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব শেঠিসহ সরকারি ও বেসরকারিখাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের অগ্রগামী ও সর্ববৃহৎ ডেটাথন আয়োজন হিসেবে ডেটাথন ৩.০ বাস্তব বিশ্বের ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিগ ডাটা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিংয়ের রূপান্তরমূলক ভূমিকার ওপর আলোকপাত করেছে। এই আয়োজন ডেটা বিজ্ঞানী, ব্যবসায় বিশ্লেষক, পরিসংখ্যানবিদ, ডেটা ইঞ্জিনিয়ার, প্রোগ্রামার, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন শিল্পখাত ও স্টার্ট আপসহ ডেটা নিয়ে কাজে উৎসাহীদের জন্য এক ধরনের আকর্ষণীয় সুযোগ।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, ‘শিক্ষা, বিনোদন,খেলা প্রতিটি জায়গায় ডেটা সায়েন্টিস্ট এর দরকার হবে। আমাদের মেধাবী তরুণ প্রজন্ম এক্ষেত্রে দারুণ ভূমিকা রাখবে। করোনা পরিস্থিতির সময় আমরা ডেটার ব্যবহার করেছি। আর এরই কারণে কোভিড মোকাবিলায় বিশ্বের সফল ৫ম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি আমরা।’
রাজীব শেঠি বলেন, ‘ডেটাথনে অংশগ্রহণকারীদের প্রতিভা ও উদ্ভাবনী শক্তি দেখে আমরা অত্যন্ত আশান্বিত। এই আয়োজন বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ডেটা সায়েন্সের সম্ভাবনাকে তুলে ধরে এবং ভবিষ্যত মেধাবী ডেটা বিজ্ঞানীদের পৃষ্ঠপোষকতা করার ক্ষেত্রে রবির প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ় করে। ডেটাথনে পাওয়া যুগান্তকারী উপায়গুলো স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে-এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
উল্লেখ্য, ডেটাথন ৩.০ প্রতিযোগিতায় ৩,৫০০ জনেরও বেশি প্রতিযোগী ১,০০০টিরও বেশি দলে বিভক্ত হয়ে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করে। নানা ধাপে আয়োজিত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে ২৩টি দলের ৯৯ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। গত ২৪ ও ২৫ মে রবি করপোরেট অফিসে আয়োজিত ৪৮ ঘণ্টার ম্যারাথন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ডেটাথন ৩.০-এর বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।
রবি ‘ডেটাথন ৩.০’ আয়োজনে সহযোগী অ্যামাজন ওয়েব সিরিজ; প্লাটিনাম স্পন্সর হুয়াওয়ে বাংলাদেশ; ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার এডিএ বাংলাদেশ; ইন্টিগ্রেশন পার্টনার অ্যাকজেনটেক পিএলসি এবং ক্লাউড এক্সপার্টাইজ পার্টনার ব্রেইন স্টেশন ২৩।