যুবকরাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চালিকা শক্তি: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ক.বি.ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, যুবকরাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চালিকা শক্তি। তাদেরকে ডিজিটাল দক্ষতা সম্পন্ন মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর অপরিহার্য। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল দক্ষতা সম্পন্ন যুব সমাজ এবং ডিজিটাল সংযুক্তি অপরিহার্য। প্রচলিত শিক্ষা চতুর্থ কিংবা পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের উপযোগী না হওয়ায় নতুন প্রজন্মের জন্য ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের বড় অন্তরায়। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী শক্তি হিসেবে তৈরি করাই যুব সমাজের বড় চ্যালেঞ্জ।
মন্ত্রী গত রবিবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকায় অফিসার্স ক্লাবে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের ২৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুব সমাজ শীর্ষক সেমিনার ও শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ উপলক্ষ্যে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম, নির্বাহী সভাপতি মো. ইবরাহিম হোসেন খান, ভাইস চেয়ারম্যান ম. হামিদ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আজহারুল ইসলাম খান এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব রাশেদুল হাসান শেলী বক্তৃতা করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবদুস সামাদ।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, সৈয়দ নজরুল জাতির চ্যালেঞ্জিং সময়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসির অহংকার। আমরা বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধারা তথা বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসি গর্ব করে বলতে পারবো মুজিব নগর সরকারের দায়িত্ব পালন করেছেন বৃহত্তর ময়মনসিংহের সন্তান। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন, ৫৪‘র যুক্ত ফ্রন্ট ৬২‘র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬‘র ছয় দফা, ৬৮‘র আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৬৯‘র গণঅভ্যুথান, ৭০‘র সাধারণ নির্বাচন এবং একাত্তরের মহান মুক্তি সংগ্রামে যুব সমাজের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে কাগজের বইয়ে লেখা পড়া হয় না। কাগজের বই ডিজিটাল উপাত্তে রূপান্তর করে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করানো হচ্ছে। বিটিআরসি’র এসওএফ তহবিলের অর্থায়নে ইতোমধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে আমরা দেশের সুবিধা বঞ্চিত এলাকায় ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পার্বত্য অঞ্চলের ২৮টি পাড়া কেন্দ্রে ডিজিটাল যন্ত্রে ডিজিটাল উপাত্ত দিয়ে শিশুদেরকে ডিজিটাল যুগের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছি। আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য ডিজিটাল দক্ষতা তোমাদের অর্জন করতেই হবে। আগামী দিনে প্রযুক্তি হবে মানুষের স্থলাভিসিক্ত । ইতোমধ্যেই এআই চ্যাট জিপিটির প্রভাব তোমরা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করছো। তবে আমরা মানুষের বিকল্প হিসেবে নয়, যতটুকু প্রযুক্তি প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই গ্রহণ করবো। প্রযুক্তি ও মানুষের মিশেলে সরকার স্মার্ট সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর।