মোবাইলের এআই যুগের জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস প্রদর্শিত হচ্ছে
ক.বি.ডেস্ক: ‘অ্যাডভান্সিং দ্য ইন্টেলিজেন্ট ওয়ার্ল্ড’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত ‘‘মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সাংহাই ২০২৪’’-এ ফাইভজি অ্যাডভান্সের বাণিজ্যিক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা দিচ্ছে হুয়াওয়ে। এই কংগ্রেসে হুয়াওয়ের বুথে বাণিজ্যিকভাবে কমার্শিয়াল ফাইভজি-এ (অ্যাডভান্স) ব্যবহার ও মোবাইলের এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) যুগের জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস প্রদর্শিত হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বের অগ্রগামী ফাইভজি-এ অপারেটরদের সঙ্গে পৃথক ছয়টি সমঝোতা করেছে। এ ছাড়া এআই যুগে উন্নত মানের মোবাইল ভিডিও ডেভেলপমেন্টের জন্য হুয়াওয়ে আন্তর্জাতিক অপারেটর, এই শিল্পখাতের গ্রাহক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে একটি যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে। এই আয়োজনে হুয়াওয়ে এফফাইভজি-এ ও নেট৫.৫জি-এর উন্নয়নের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার জন্য আন্তর্জাতিক অপারেটর ও এই শিল্পখাতের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
হুয়াওয়ের বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডেভিড ওয়াং বলেন, ‘‘২০২৪ সালে মোবাইল এআই যুগের সূচনা হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি-এ চালু ও অন্যান্য এআই ডিভাইস আসার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। এই প্রযুক্তিগুলো সব জায়গায় ইনটেলিজেন্ট সার্ভিসের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই যুগটি শুধু মানুষ ও যন্ত্রের যোগাযোগকে রূপান্তরিত করবে না, বরং কনটেন্ট প্রোডাকশন ও মোবাইল ডিভাইসকে রূপান্তরিত করবে। হুয়াওয়েতে আমরা নতুন ব্যবসায়িক উপযোগিতা তৈরি করতে ‘নেটওয়ার্কস ফর এআই’ এবং ‘এআই ফর নেটওয়ার্কস’ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ফাইভজি-এ-এর বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে থাকবো।’’
বিশ্বজুড়ে ফাইভজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৮০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে এবং অনেক অপারেটর ইতোমধ্যে ফাইভজির প্রথম ধাপের সুফল দেখেছে। নিউ কলিং, ক্লাউড ফোন ও গ্লাস-ফ্রি থ্রিডির মতো কনজিউমার সার্ভিসগুলোতে উচ্চগতি ও নিম্ন ল্যাটেন্সির মতো উচ্চ নেটওয়ার্ক সক্ষমতার প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া শিল্পখাতের সার্ভিসের ক্ষেত্রে রেডক্যাপ ইকোসিস্টেম উন্নত হয়েছে, এমনকি প্যাসিভ ইন্টারনেট অব থিংস এখন সহজলভ্য এবং ইন্টারনেট অব ভেহিক্যালস অ্যাপ্লিকেশনগুলোতেও উচ্চ আপলিঙ্ক স্পিডের প্রয়োজন হয়।
এই যুগটি শুধু মানুষ ও যন্ত্রের যোগাযোগকে রূপান্তরিত করবে না, বরং কনটেন্ট প্রোডাকশন ও মোবাইল ডিভাইসকে রূপান্তরিত করবে
ডেভিড ওয়াং
চেয়ারম্যান- আইসিটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজিং বোর্ড, হুয়াওয়ে
বিশ্বের শীর্ষ অপারেটরগুলো ইতোমধ্যে ফাইভজি এর সুবিধা ব্যবহারে আগ্রহী। ৩০টিরও বেশি অপারেটর এরই মধ্যে ফাইভজি-এর টেকনিক্যাল ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করেছে। বাজারে ২০টির কাছাকাছি মোবাইল ফোনের মডেল রয়েছে যেগুলোতে বর্তমানে মাল্টি-ক্যারিয়ার অ্যাগ্রিগেশন সাপোর্ট করে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি মডেলে স্বাভাবিকভাবে এই ফিচারটি চালু হয়ে যায়। প্রায় ১০টি অপারেটর প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি-এ পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপারেটর, এই খাতের পেশাজীবী ও নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে হুয়াওয়ে এই বছরের এমডব্লিউসি সাংহাই-এ বিভিন্ন্ আকর্ষণীয় বিষয়ে আলোচনা করছে। এই বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ৫.৫জি-এর যুগে ৫জি-এর সাফল্যকে ত্বরান্বিত করা ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিশ্বে আরও দ্রুত সবাইকে যুক্ত করতে অপারেটরের আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর পদ্ধতি।