মোবাইল ফোনের ওপর ভ্যাট বাড়ানোয় এফআইসিসিআই’র উদ্বেগ

ক.বি.ডেস্ক: ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে তাদের কিছু উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছে ফরেইন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)। বাংলাদেশের ব্যবসা ও বিদেশি বিনিয়োগের ওপর বাজেটের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কেও রাজধানীর একটি হোটেলে আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মলনের আয়োজন করা হয়।
এফআইসিসিআই প্রেসিডেন্ট নাসের এজাজ বিজয় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এফআইসিসিআই’র নির্বাহী পরিচালক টি আই এম নূরুল কবির।
নাসের এজাজ বিজয় জানান, এই সময় যখন আমরা ডিজিটালাইজেশন এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি তখন ব্রড ব্যান্ড ইন্টারনেট এবং বিশেষ করে মোবাইল ফোনের ওপর ৫% ভ্যাট বাড়ানো ঠিক হয়নি।
সংবাদ সম্মলনে বক্তারা জানান, প্রস্তাবিত বাজেটে এমন একটি বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার ফলে একটি কোম্পানিকে ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ)-এর অবদানের ওপর কর প্রদান করতে হবে। এটি কোম্পানিটির আয়করের বোঝা ও কার্যকর করের হার বাড়িয়ে তুলবে।
প্রসংঙ্গত বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবসায় প্রতিটি ব্র্যান্ডের জন্য ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত প্রায় ৩-৪ টি স্তরে ব্যবসা সম্পন্ন হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যদি মোবাইল ফোন ব্যবসার প্রতিটি স্তরে উপরোক্ত ৫% ভ্যাট আরোপ করা হয় তবে প্রতিটি মোবাইল ফোনের খুচরামূল্য প্রায় ১৫-২০% বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে ভোক্তা পর্যায়ে অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হবে এবং মোবাইল ফোন দেশের সিংহভাগ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।