মুঠোফোন ও ইন্টারনেট সেবায় ভ্যাট না কমালে এনবিআর ঘেরাও করা হবে
ক.বি.ডেস্ক: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নতুন করে গ্রাহকদের ওপর অনৈতিকভাবে সম্পূরক শুল্কজারী করতে যাচ্ছে। ভয়েস কল এবং ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নতুন করে তিন শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে এনবিআর। নতুন করে এই উচ্চ কর হার নাগরিকদের ইন্টারনেট সেবা থেকে বিমুখ করবে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করবে।
আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এনবিআর’র এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত এবং মুঠোফোন ও ইন্টারনেট সেবায় নতুন করে ভ্যাট আরোপ করার প্রতিবাদে এক মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজন করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আইআইজিবি’র সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, “শতভাগ দেশীয় উদ্যোক্তার মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হয়। এই সেবা খাত ধ্বংস করার অপচেষ্টা আগেও করা হয়েছে এখন আবার নতুন করে ১০% এসডি ও সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত করায় গ্রাহকের ভোগান্তি যেমন বাড়বে একইভাবে এই সেবাখাত ধ্বংস হয়ে যাবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে যদি এই ধরনের হঠকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে আমরা গ্রাহক এবং সেবা খাতের সবাইকে নিয়ে এনবিআর কার্যালয় ঘেরাও করব।”
আইএসপিএবি’র সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, “আমাদের ছোট ছোট উদ্যোক্তা যেমনভাবে হুমকির মুখে পড়বে ঠিক একইভাবে গ্রাহকদের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝার চাপ বাড়বে। ফোনে ইন্টারনেট সেবা বিমুখ হবে জনগণ যা নতুন করে বৈষম্য তৈরি করবে।”
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক খালিদ আবু নাসের বলেন, “নতুন করে করের বোঝা জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলবে না, সরকারকে ১০ নম্বর সংকেতে ফেলবে। হঠকারী মূলক সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে।”
বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, “কারও সঙ্গে আলোচনা না করে নতুন করে ইন্টারনেট সেবায় পর আরোপ করা এক ধরনের সৈরাতান্ত্রিক আচরণ। নতুন করে কর বৃদ্ধি করলে টেলিযোগাযোগ ইন্টারনেট সেবা খাত হুমকির মুখে পড়বে। নতুন উদ্যোক্তা তৈরি তো দূরে থাক গ্রাহকরা এই সেবা গ্রহণ করতে পারবে না হলে নতুন করে পর আদায় করার যে সিদ্ধান্ত তা হোচট খাবে।”
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “দুর্নীতিবাজ রাজস্ব কর্মকর্তাদের খুশি করতেই তাদের পরামর্শে এই ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আমরা ভেবেছিলাম ৫ই আগস্ট এর পর আর রাজপথে দাঁড়াতে হবে না। কিন্তু আজ দুঃখের সঙ্গে আমাদের রাজপথে দাঁড়াতে হলো। গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনা না করে কারো সঙ্গে আলোচনা না করে রাতের আঁধারে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যার জনগণের সঙ্গে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করল। এক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে আমরা এনবিআর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করা সহ কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।”