‘মুজিব আমার পিতা’ চলচ্চিত্রের বিশেষ আয়োজনে যুবলীগের অংশগ্রহণ
ক.বি.ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রচনা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ অবলম্বনে মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী উপলক্ষে আইসিটি বিভাগ নির্মিত দেশের প্রথম ফিচার-লেংথ অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘‘মুজিব আমার পিতা’’ এর বিশেষ আয়োজন গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়। এই বিশেষ আয়োজনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
‘‘মুজিব আমার পিতা’’ অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটির বিশেষ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল এবং চলচ্চিত্রটির পরিচালক সোহেল মোহাম্মদ রানা।
চলচ্চিত্রটি নিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, শিশু-কিশোরদের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনের গল্প পৌঁছে দেয়া প্রয়োজন। শিশুসহ সকলের কাছেই অ্যানিমেশন একটি ভালো মাধ্যম বলে তিনি মনে করেন।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি কাজই ছিল মানুষের কল্যানে। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অপরিসীম অবদানের কথা এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।
মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাটি জীবন মানুষের কল্যানে কাজ করে গিয়েছেন। তিনি সারাটি জীবন যুদ্ধ ও সংগ্রাম করে আমাদের একটি বাংলাদেশ উপহার দিয়ে গিয়েছেন। আমরা যুবলীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও নীতির আদর্শ বুকে ধারণ করি তবে আমি বিশ্বাস করি এই বাংলাদেশে মুজিব আদর্শের বাইরে আর কোন আদর্শ থাকার কথা নয়।
সোহেল মোহাম্মদ রানা বলেন, আমরা যখন কাজ শুরু করেছিলাম অনেকে বিশ্বাসই করতে পারেননি বাংলাদেশে বসে ফিচার-লেংথ অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র নির্মাণ করা সম্ভব। কিন্তু আমরা বিশ্বাস হারাইনি। এই সিনেমাটি নির্মাণ করতে গিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, এখনই হয়তো বিশ্বমানের অ্যানিমেশন বানানো সম্ভব নয়। তবে আমরা যাত্রাটা করেছি। শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সেরা কাজ করার চেষ্টা করেছি। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে গিয়ে আমরা ওয়ার্কশপ করে অ্যানিমেটর তৈরি করেছি। আমি বিশ্বাস করি, সামনে এরাই দেশের অ্যানিমেশন শিল্পের দৃশ্যপট বদলে দেবে। এবং সেই নতুন দিনের সূচনাটা হচ্ছে মুজিব আমার পিতা বড় পর্দায় মুক্তি পাওয়ার মধ্যে দিয়ে।
উল্লেখ্য, ১৬ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্রটি সেন্সর ছাড়পত্র পায়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে প্রিমিয়ার শো আয়োজন করা হয়। ১ অক্টোবর থেকে চলচ্চিত্রটি সারা দেশের বিভিন্ন হলে সাধারণ দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। চলছে ঢাকার বসুন্ধরা সিটি, সীমান্ত সম্ভার, মহাখালী ও মিরপুরে স্টার সিনেপ্লেক্সে, যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমাস এবং চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে। চলচ্চিত্রটি নির্মাণে সহায়তা করেছে বিএমআইটি সলিউশন্স লিমিটেড এবং প্রোলেন্সার স্টুডিও।