মুক্তি পেলো ‘মুজিব আমার পিতা’ অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র
ক.বি.ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা বই ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য দ্বিমাত্রিক (টু-ডি) অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘‘মুজিব আমার পিতা’’। দেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে গতকাল (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনে। ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন সিনেপ্লেক্সে ও সিনেমা হলে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাচ্ছে ১ অক্টোবর।
‘মুজিব আমার পিতা’ চলচ্চিত্রটিতে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর, যৌবন, রাজনৈতিক কর্মজীবন এবং তার জীবনের অন্যান্য দিক তুলে ধরা হয়েছে। মূলত বঙ্গবন্ধুর শৈশব থেকে শুরু করে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন পর্যন্ত সময়কে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে।
গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয় ‘মুজিব আমার পিতা’ অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার শো। প্রিমিয়ার শো উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বক্তব্য রাখেন মুজিবশতবর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের কিউরেটর ড. নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিনে তাঁর লেখা গ্রন্থ অবলম্বনে নির্মিত প্রথম সেন্সর ছাড়পত্রপ্রাপ্ত অ্যানিমেশন মুভি ‘মুজিব আমার পিতা’র মুক্তি জাতীয় চলচ্চিত্র অঙ্গনে একটি মাইলফলক। অ্যানিমেটেড মুভি আরও হয়েছে কিন্তু সেন্সর ছাড়পত্রপ্রাপ্ত মুভি এটিই প্রথম। প্রদর্শনের মাধ্যম থেকে শুরু করে নির্মাণ মাধ্যম সবকিছুই কিন্তু পরিবর্তন হচ্ছে। কারণ পৃথিবীতে গত দুই দশকে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। সেই সঙ্গে চলচ্চিত্রেরও অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। সেই প্রেক্ষাপটে এই অ্যানিমেশন মুভিটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড না থাকলে আমাদের তরুণরা বিপথে যায়। ২০১৩ থেকে ১৫ সালে দেখেছি, যেসমস্ত জেলায় সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের ব্যাপকতা ছিল, সেখানে মৌলবাদী হাঙ্গামা বেশি হয় নাই। আর যেসমস্ত জেলায় কম ছিল সেখানে মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সেজন্য সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের কোনো বিকল্প নেই এবং সেটির বড় অনুসঙ্গ হচ্ছে চলচ্চিত্র। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তাঁর দৃষ্টিতে তাঁর পিতাকে কিভাবে দেখেছেন সেটা নিয়েই তিনি বইটি লিখেছেন এবং সেটার ওপর ভিত্তি করে ছবিটা নির্মাণ করা হয়েছে। আশা করি, এটি জাতির সকলকে অনুপ্রাণিত করবে।
‘মুজিব আমার পিতা’ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন সোহেল মোহাম্মদ রানা। প্রোলেন্সার স্টুডিও থেকে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। চলচ্চিত্রের জন্য গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন মেঘদল ব্যান্ডের ভোকাল শিবু কুমার শীল। চলচ্চিত্রটি অর্থায়ন করেছে আইসিটি বিভাগ। সহযোগিতায় বিএমআইটি সলিউশন লিমিটেড।
ছবি সৌজন্যে: পিআইডি, তথ্যসুত্র: বাসস