মিলভিক এর টিভ্যাস লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত
ক.বি.ডেস্ক: রেভিনিউ শেয়ারিং ও সোশ্যাল অবলিগেশন ফান্ডের পাওনা পরিশোধ না করায় মিলভিক বাংলাদেশের টিভ্যাস লাইসেন্স বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি। ফলে প্রতিষ্ঠানটি টেলিকম ভ্যালু অ্যাডেড সেবা আর দিতে পারবে না। যদিও এর আগে এসএমএসভিত্তিক স্বাস্থ্যবিমা প্যাকেজ রবির গ্রাহককে অটো রিনিউয়ে বাধ্য করা এবং অনলাইন টার্মিনাল স্থাপন না করায় ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটিকে।
প্রতিষ্ঠানটির কাছে সর্বেশেষ হিসাবে বিটিআরসির পাওনা ৬৮ লাখ ৪৪০৫ টাকা। আর তা না দেয়ায় নতুন সিদ্ধান্তে কোম্পানিটির লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট বাতিলসহ কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাসহ অন্যান্য মামলাও করবে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।
মিলভিক মোবাইল ফোন অপারেটর রবির স্বাস্থ্যবিমা প্যাকেজ নিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে আসছে। কোম্পানিটি বিটিআরসির টিভ্যাস লাইসেন্স নিয়ে রবির গ্রাহকদের কাছে স্বাস্থ্যবিমা বিক্রি করে থাকে। সেখানে রবির ‘এসএমএসভিত্তিক মাইহেলথ ফ্যামিলি প্যাক’ এবং ‘মাইহেলথ কম্বো প্যাক’ অটোরিনিউসহ গ্রহণ করতে হতো। অর্থাৎ, সেবাটি নিলে অটোরিনিউসহই গ্রাহককে নিতে হতো। এ ছাড়া মিলভিক বিটিআরসি অনুমোদিত সার্ভিস অ্যান্ড ট্যারিফের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তা দিয়ে ব্যবসা চালাতো এবং অনলাইন টার্মিনাল স্থাপনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা করেনি।
বিটিআরসির যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, পার্টনার রেভিনিউ শেয়ারিং হিসেবে রবি হতে ১১ কোটি ৮৭ লাখ ৯০৫৭৮ টাকা নিয়েছে মিলভিক। এই হিসাব মিলভিকের রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট পাওয়ার সময় হতে।
রবির শীর্ষ পর্যায়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলছেন, মিলভিকের টিভ্যাস লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তারা এখনও জানেন না। তবে বিটিআরসি যদি তাদের লাইসেন্স বাতিল করে তাহলে স্বাভাবিকভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসার সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে এই সেবা নেয়া বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের বিষয়ে কী হবে, সেটি দেখতে হবে।
বিটিআরসি বলছে, টিভ্যাস রেজিস্ট্রেশন গাইডলাইন অনুযায়ী এবং অন্যান্য আইন অনুয়ায়ী সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। তাই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ব্যবসার ক্ষেত্রে দেশি বা বিদেশি যে কোম্পানিই হোক তাকে রাষ্ট্রের নিয়মনীতি, আইন মেনে ব্যবসা করতে হবে। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা, রাষ্ট্রের পাওনা না দেয়া- এসব তো চলতে পারে না। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তাই সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে।‘বিটিআরসি চেষ্টা করছে তাদের মনিটরিং আরও বাড়াতে। কিন্তু সংস্থাটির কার্যপরিধির তুলনায় জনবল কম। সেখানে এই জনবল নিয়েই জনগণের ও রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় পদক্ষেপগুলো নিয়ে যাচ্ছে তারা’।
তথ্যসুত্র: টেকশহর ডট কম