‘মাস্ক আমার সুরক্ষা সবার’
ক.বি.ডেস্ক: বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে জীবন ও জীবিকার ভারসাম্য বজায় রেখে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে টিকা গ্রহণের পাশাপাশি সঠিকভাবে মাস্ক পরিধানের কোন বিকল্প নেই। আসন্ন ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে স্থাপিত কোরবানির পশুর হাটে কোভিড-১৯ বিষয়ক সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ‘‘মাস্ক আমার সুরক্ষা সবার’’ ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৬ জুলাই) অনলাইনে আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন।
ডিএনসিসির ৯টি এবং চসিকের ২টি গবাদি পশুর হাটে ১৭-২০ জুলাই ৪ দিনব্যাপী বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণ করার পাশাপাশি সারাদেশের জনসাধারণকে সঠিকভাবে মাস্ক পরার বিষয়ে অনুপ্রাণিত করতে বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণ এবং সরকারের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা নাগরিকদের মধ্যে প্রচার করা হবে। গবাদি পশুর হাটে ৫০০ প্রোমোটারের মাধ্যমে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রায় ৮ লক্ষ মাস্ক বিতরণ করা হবে।
মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনার মতো কোরবানিও একটি বাস্তবতা। করোনাকে ম্যানেজ করেই আমাদের চলতে হবে। করোনা ম্যানেজমেন্টের অংশই হলো মাস্ক পরা। আমাদের সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। আমরা লজ্জা নিবারণের জন্য যেমন পোশাক পরি তেমনি করোনা থেকে জীবন বাঁচানোর জন্য মাস্ক পরতে হবে। এবার ডিএনসিসির ৯টি কোরবানির গুরুর হাটে এ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থাও থাকবে।
মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের ৫টি পশুর হাটগুলোতে মাস্ক ও সেনিটাইজার বিতরণ করা হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া যাতে কেউ হাটে ঢুকতে না পারে সেজন্য ইজারাদারদের শর্ত দেওয়া হয়েছে। কোরবানির জন্য একটি পশু কেনার জন্য মাত্র একজনকে হাটে ঢুকতে দেওয়া হবে ও জনগণকে সচেতন করতে নিয়মিত মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, জীবন ও জীবিকা দুটোকেই রক্ষা করে দেশের সকল কার্যক্রম সচল রাখার জন্য এবং পরিবারের সকলকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদেরকে সঠিক পদ্ধতিতে মাস্ক পরার অভ্যাস করতে হবে। আস্তে আস্তে মাস্ক পরার অভ্যাসকে রীতি ও সংস্কৃতিতে পরিণত করতে হবে। এজন্য সবার জন্য বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণ করা, মাস্ক পরার প্রয়োজন ও পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তোলা, মাস্ক পরিধানকে আবশ্যকীয় করা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ দ্বায়িত্বশীল সকলকে মাস্ক পরিধান প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে হবে।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দেশের শিক্ষা পরিবেশ চলমান রাখার লক্ষ্যে বিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার চেষ্টা করছি। এই পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে মাস্ক পরা। শিক্ষার্থীদের পর্যায়ে যদি আমরা মাস্ক পরার অভ্যাসটা সৃষ্টি করতে পারি তাহলে আগামীতে যে প্রজন্ম তৈরি হবে তাদের মধ্যে মাস্ক পরার প্রবণতা বাড়বে।
শক্তি ফাউন্ডেশনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইমরান আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে আরও যুক্ত ছিলেন ফুডাপান্ডা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আম্বারিন রেজা, ইয়েল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ মুশফিক মুবারক, শিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ও হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট মিডিয়ার ম্যানেজার মিজ পূরবী মতিন।
মাস্ক আমার সুরক্ষা সবার ক্যাম্পেইনের সহযোগিতায় ডিএনসিসি এবং চসিক। আয়োজক আইসিটি বিভাগ, এটুআই ও শক্তি ফাউন্ডেশন। সঙ্গে রয়েছে ইয়েল-বিশ্ববিদ্যালয়, ইনোভেশন ফর পোভার্টি অ্যাকশন (আইপিএ) ও ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)। আর্থিক সহযোগী সিটি ফাউন্ডেশন ও ফুডপান্ডা। মাস্ক বিতরণে সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিআরআই’র ইয়াং বাংলা এবং বিডি ক্লিন।