মার্চ থেকে ডিজিটাল হচ্ছে বিমান টিকিটিং: প্রধানমন্ত্রী
ক.বি.ডেস্ক: আগামী মার্চ মাস থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পেসেঞ্জার সার্ভিস সিস্টেমকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বলাকা ভবনে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এ বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এ বিমান পরিবহন সংস্থার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম এবং ডেটা কার্ড উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় অন্যদের মধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলাকা ভবনে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পেসেঞ্জার সার্ভিস সিস্টেমকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করে দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে অনলাইনে টিকিটিং, রিজারভেশন, বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর চেক-ইন সবকিছু অনলাইনে হবে। এটি আমাদের প্রবাসীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় এবং খুবই আনন্দদায়ক হবে। বিমানের টিকেট কিনতে গেলে সিট খালি থাকলেও বলে দেয় সিট নাই। অথবা নানা ধরনের সমস্যায় ভুগতে হয়। তা ছাড়া এখন সবাই ব্যস্ত থাকে, কাজ করে। কিন্তু অনলাইনে যখন টিকিট কেনা বা সিট বুকিং করা বা চেক-ইন সবকিছু যখন অনলাইনে তখন পেসেঞ্জারদের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে যাবে। আন্তর্জাতিকভাবে পৃথিবীর সবদেশে এই ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা এক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে ছিলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে বর্তমানে ৪টি বৃহত পরিসরের বোয়িং-৭৭৭-৩০০-ইআর, চতুর্থ প্রজন্মের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত ৪টি ৭৮৭-৮ ও ২টি ৭৮৭-৯ সহ মোট ৬টি ড্রিমলাইনার, ৬টি ৭৩৭-৮০০ এবং ৫টি ড্যাশ-৮-৪০০ উড়োজাহাজ রয়েছে। এই ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে ১৮টি উড়োজাহাজই বিমানের নিজস্ব মালিকানাধীন। অনেকগুলো আমাদের সময়েই সংগ্রহ বা ক্রয় করা। প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবং দক্ষ জনবল দিয়ে অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ার রিপ্লেসমেন্ট এবং বোয়িং ৭৮৭ এর সি-চেক কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এতে প্রচুর অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। বিমানের একটি দক্ষ এবং অত্যন্ত কার্যকর গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং ইউনিট গড়ে তোলা হচ্ছে। চতুর্থ প্রজন্মের বিমান সংযুক্ত হওয়ায় যাত্রীদেরকে আকাশে ওয়াইফাই সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের ইনফ্লাইট বিনোদন সেবা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমান বন্দরগুলো পার্শ্ববর্তী শহরের যাত্রীদের আরামদায়ক গমনাগমনের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মনোরম কোচ সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
সরকার প্রধান বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। করোনার সময়েও কিন্তু এর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়নি। কাজ অব্যাহত রয়েছে। উচ্চশক্তি সম্পন্ন রাডার স্থাপন করবো, সেই ব্যবস্থা নিয়েছি। যেটা আমাদের বিমান চলাচলে, শুধু আমাদের বিমান না, বাংলাদেশের আকাশ সীমা দিয়ে অন্য যত দেশের বিমানই যাক, তার সবটির জন্য সেটা আমরা করে দিচ্ছি।