বেসিস জাপান ডে ২০২২
ক.বি.ডেস্ক: দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘বেসিস জাপান ডে ২০২২’। অনুষ্ঠানে বেসিস এবং মিয়াজাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বেসিসর পরিচালক এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবু।
গতকাল রবিবার (২০ নভেম্বর) ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে বেসিস আয়োজিত ‘বেসিস জাপান ডে ২০২২’ এর প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মো. মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, জাইকার বাংলাদেশ প্রধান ইচিগুচি তোমোহিদে, জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইউজি আন্দো এবং মিয়াজাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. হিরোশি সামোশিমা। সভাপতিত্ব করেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথভাবে কাজ করার এখনই উপযুক্ত সময়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় পরামর্শ দেন যে সরকারকে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে এবং বেসরকারি খাতকে ব্যবসা করতে হবে। সরকার ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ আনবে ও বেসরকারি খাত ব্যবসা করবে যা বর্তমান সরকারের কৌশলনীতি। বেসিস জাপান ডেস্কের মার্কেট-স্কোপিং দিকনির্দেশনা বাংলাদেশে জাপানি ফার্মগুলোর কার্যক্রম বৃদ্ধি, নতুন বাজার উন্মোচন, বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে এবং পাশাপাশি জাপানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদেরও বাংলাদেশে বিনিয়োগে উতসাহিত করবে।
মো. মাসুদ বিন মোমেন, বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাপানের সহযোগিতা বরাবরই ইতিবাচক। অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের দিক থেকে জাপান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে জাপান ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে আসছে।
ইতো নাওকি বলেন, বাংলাদেশ জাপানের বিনিয়োগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তির দিক থেকে অনেক এগিয়েছে। তাই বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত একটি উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনাময় খাত। বাংলাদেশ সরকার দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তাই তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ ও জাপানের একসঙ্গে কাজ করার বেশ সুযোগ রয়েছে।
রাসেল টি আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ও জাপান এর মধ্যে অত্যন্ত সুন্দর ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দেশের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক বন্ধুত্বের সেতুবন্ধনে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে গভীর সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বেসিস সবসময়ই কাজ করে আসছে। সামগ্রিক ব্যবসায়িক পরিবেশ, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উন্নতি এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি-বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বেসরকারি খাতকে আরও প্রগতিশীল করতে এবং বাংলাদেশের জন্য নতুন ব্যবসার সুযোগ উন্মোচন করতে বেসিস কাজ করে যাবে।