বিসিএসের আয়োজনে ‘ক্লাউড কমপিউটিং পরিচিতি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি

বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি (বিসিএস) সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় ‘ইন্ট্রোডাকশন টু ক্লাউড কমপিউটিং’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে। প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের (বিডিওএসএন) সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান। অনলাইনে প্রায় দুই শতাধিক বিসিএস সদস্য এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। বিসিএসের ফেসবুক পেজে প্রচারিত হয়।
০১ জুন সন্ধ্যা সাতটায় অনলাইনে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের (বিপিসি) কো-অর্ডিনেটর এ এইচ এম শফিকুজ্জামান। কর্মসূচিতে গ্লোবাল ব্র্যান্ডের চেয়ারম্যান এ এস এম আবদুল ফাত্তাহ, রায়ান্স কমপিউটার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ হাসান জুয়েলসহ অন্যান্যরা ক্লাউড কমপিউটিংয়ে দেশীয় বাজার সম্পর্কে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সঞ্চালনা করেন বিসিএস যুগ্ম মহাসচিব মো. মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন।
এ এইচ এম শফিকুজ্জামান তিনি বলেন, বিশ্বায়নের যুগে ক্লাউড কমপিউটিং একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। ক্লাউড কমপিউটিং কোনো নির্দিষ্ট প্রযুক্তি নয় বরং বেশ কয়েকটি প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা একটি ব্যবসায়িক মডেল বা বিশেষ পরিসেবা। কমপিউটিং সেবার গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের পাশাপাশি ক্রেতারা প্রযুক্তি সেবার প্রতিও আগ্রহী। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের এই খাতে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
ক্লাউড কমপিউটিং সম্পর্কে মুনির হাসান বলেন, ক্লাউড এখন ডেপ্লয়মেন্ট মডেল থেকে সার্ভিস মডেলে ধাবিত হচ্ছে। সামনের দুনিয়া হবে সার্ভারলেস কমপিউটিংয়ের।আগামী দিনের ব্যবসায়ের বড় একটি অংশ ক্লাউডকে ঘিরে আবর্তিত হবে। এ কারণে ক্লাউডের জন্য এবং ক্লাউড এনাবল প্রচুর জনবলের প্রয়োজন হবে। তাই এই প্রযুক্তির সঙ্গে সময়মতো নিজেদের মানিয়ে নিতে হবে।
ক্লাউড কমপিউটিংয়ের সম্ভাবনা নিয়ে আমাজন ওয়েব সার্ভিসে কর্মরত এবং ক্লাউডক্যাম্প বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ মাহদী-উজ-জামান বলেন, পার্টনার নেটওয়ার্ক বা মার্কেট প্লেস হিসেবে ক্লাউড প্লাটফর্ম ব্যবহার করা যায়। রিটেইল স্টোরের খরচ কমাতে সার্ভারলেস সিস্টেমে গেলে ৯০ শতাংশ খরচ কমবে। এছাড়াও ক্লাউড কমপিউটিংয়ের মাধ্যমে এক দিনের মধ্যে এপিআই গেটওয়ের মাধ্যমে কম্বাইন্ড ই-কমার্স সাইট তৈরি করা সম্ভব।
নভোকম ইন্টারক্লাউডের ক্লাউড সেবা ব্রিলিয়ান্ট ক্লাউডের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা তানভির এহসানুর রহমান দেশীয় ব্র্যান্ডিং নিয়ে দেশীয় ক্লাউড ব্যবহারের আহ্বান জানান। আমরা ওপেন সোর্স সেবা দিচ্ছি। বিদেশী ক্লাউডের চেয়ে দেশী ক্লাউডে লেটেন্সি কম। দেশের যে কোনো জায়গা থেকে ৫ মিলিসেকেন্ডে ক্লাউড সার্ভারে সংযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু বিদেশী ক্লাউডগুলোর ক্ষেত্রে এই পিং সময় ৬০ সেকেন্ড।
প্রসঙ্গত, আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (আইবিপিসি) এবং বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।