বিসিএসের ‘অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে নেতৃত্ব চর্চা’ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি
বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি (বিসিএস) সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় ‘অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে নেতৃত্ব চর্চা’ শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। অনলাইনে প্রায় দুই শতাধিক বিসিএস সদস্য এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি বিসিএসের ফেসবুক পেজে প্রচারিত হয়। এ সময় প্রায় ১ হাজার দর্শনার্থী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপভোগ করেন।
প্রশিক্ষন কর্মসূচিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের (বিপিসি) কো-অর্ডিনেটর এ এইচ এম শফিকুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর, ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার এবং পারসোনা হেয়ার অ্যান্ড বিউটির প্রতিষ্ঠাতা কানিজ আলমাস খান। সঞ্চালনা করেন বিসিএস মহাসচিব মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং যুগ্ম মহাসচিব মো. মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন। অনলাইনে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউটের (বিএসডিআই) নির্বাহী পরিচালক কে এম হাসান রিপন।
এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, প্রতিটি ব্যবসায়ী তার প্রতিষ্ঠানের একজন নেতা। একজন সুদক্ষ নেতা নেতৃত্ব দেয়ার চেয়ে নিজের যোগ্যতা অন্যদের মধ্যে প্রস্ফুটিত করে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। কর্মীদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করলেই যে সফলতা পাওয়া সহজ হয় তাই আজকের প্রতিপাদ্য বিষয়।
মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, প্রশিক্ষণ মানুষকে সমৃদ্ধ করে। শিখতে পারলে তার বাস্তবিক প্রয়োগ করা সহজ হয়। বিসিএস সদস্যদের জন্য আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিগুলো করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের ঘরে থাকার এই সময়কে কার্যকরী করে তুলবে। সময়ের সঠিক ব্যবহার করে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কোভিড-১৯ এর প্রভাবে সৃষ্ট সমস্যাগুলো সমাধানে উদ্যোগী হতে পারবো। সদস্যদের সমৃদ্ধ করতে আমাদের এই ধরণের আয়োজন চলমান থাকবে। ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে কঠিন সময়কে আমরা বদলে দিতে সক্ষম হবো। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা হবে সফলতার সোপান।
কে এম রিপন হাসান বলেন, একজন ভালো নেতার বৈশিষ্ট্য হলো তিনি কখনো ‘আমিত্ব’ তে আটকে থাকবেন না। সব আমি করবো, আমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে অথবা আমার কথাই শুনতে হবে এমন চিন্তা কর্মীদের মধ্যে বিরুপ প্রভাব ফেলে। তারচেয়ে ‘আমরা’ শব্দটা ব্যবহার করে কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে যেকোন কাজ সমাধানের চেষ্টা করলে সেখানে সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ‘ইনক্লুসিভ লিডারশিপ’ বলতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছি। একজনের ভার যখন সবার উপরে থাকে তখন কাজের গতি বেড়ে যায়। আর এভাবেই সবার সুচিন্তিত মতামত এবং পরিশ্রম সফলতার পথে পরিচালিত করে। আর এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ একজন সুযোগ্য নেতার যার মধ্যে ‘সুনেতৃত্ব’র গুণাবলী আছে।
উল্লেখ্য, আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (আইবিপিসি) এবং বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) যৌথ উদ্যোগে এই অনলাইনে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।