বিসিএস’র ব্যবসায়িক সফলতায় ফলদায়ক যোগাযোগ শীর্ষক প্রশিক্ষণ
ক.বি.ডেস্ক: বিসিএস সদস্যদের বিসিএস স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ভলিউম ১৭ এর বাস্তবায়নে ব্যবসায়িক সফলতায় ফলদায়ক যোগাযোগের ভূমিকা সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিতে ‘‘সিক্রেটস অব ইফেকটিভ কমিউনিকেশন ফর দ্য সাকসেস অব বিজনেস’’ শীর্ষক অনলাইনে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। আইবিপিসি এবং বিসিএসের যৌথ উদ্যোগে এই প্রশিক্ষষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল বুধবার (২৬ মে বুধবার) অনলাইনে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষষ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম। প্রধান আলোচক ছিলেন মাইন্ড মেপার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এজাজুর রহমান। বক্তব্য রাখেন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের (বিপিসি) সমন্বয়ক মো. আব্দুর রহিম খান, বিসিএস উপদেষ্টা মোজাম্মেল হক বাবু, রায়ান্স আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ হাসান জুয়েল, এক্সেল টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম সাহা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর। সঞ্চালনা করেন বিসিএস যুগ্ম-মহাসচিব মো. মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন।
এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ব্যবসায়িক চর্চায় যোগাযোগের যে ভূমিকা রয়েছে তা শুধু প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের জন্য নয়, সবার জন্য অনুকরণীয়। সরকার নিজেও প্রায় ৭ হাজার সার্ভিস ডেলিভারি করে।
মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, যোগাযোগকে আমরা নিউরো সায়েন্স বলতে পারি। তাই যোগাযোগের ব্যাপারটা শারীরিকের চেয়ে অনেকাংশে মনস্তাত্ত্বিক। এজন্যই আমরা আমাদের স্লোগান বলেছি, সংবাদ নয় সংযোগ। আমরা দেখাচ্ছি সংবাদ কিন্তু আক্ষরিক অর্থে আমরা দর্শকদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে চাচ্ছি।
আহমেদ হাসান জুয়েল বলেন, ব্যবসার ক্ষেত্রে ভৌত অবকাঠামো এবং গ্রাহকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে একজন বিক্রয়কর্মী তার সবগুলো ইন্দ্রিয় ব্যবহার করে গ্রাহককে পণ্যের ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা দিতে পারেন।
গৌতম সাহা বলেন, ব্যবসার সবকিছু যদি এক পাশে রাখি আর যোগাযোগকে যদি আরেক পাশে রাখি তাহলে মূলত বিজনেস ইজ নাথিং উইদআউট কমিউনিকেশন। একজন নেতা তখনি সফল হন, যখন তার সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সবাই সাবলীল হন। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অবশ্যই পূর্ব প্রস্তুতি থাকা উচিৎ।
মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যবসার ধরণও বদলে যাচ্ছে। ব্যবসার ক্ষেত্রে যোগাযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উদ্যোক্তা, কর্মকর্তা, কর্মচারী, গ্রাহক, ভোক্তা এবং সেবা গ্রহণকারী সবার সঙ্গেই যোগাযোগের নির্দিষ্ট কিছু সূত্র রয়েছে। দুই পক্ষের সংযোগ ঘটলেই কেনা বেচা হয়।
এজাজুর রহমান বলেন, যোগাযোগকে আমরা নিউরো ল্যাঙ্গুয়িস্টিক প্রোগ্রামিং বলতে পারি। মানুষের শারীরিক অঙ্গভঙ্গির সঙ্গে যোগাযোগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই যোগাযোগের ক্ষেত্রে আই কন্টাক্ট গুরুত্বপূর্ণ। দুর্যোগকালীন সময়ে কি ধরণের যোগাযোগ গ্রাহককে আকৃষ্ট করতে পারে সেটাও বুঝার চেষ্টা করা ব্যবসার একটি অংশ। মনে রাখতে হবে মাইক্রোসফট, ফেডএক্স অথবা হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো সংকটকালীন সময়ে যাত্রা করে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রতিটি মুহূর্তই ইতিবাচক হিসেবে ধারণা রাখতে হবে। আপনার পণ্যের কি বৈশিষ্ট্য রয়েছে তার চেয়ে গ্রাহকের কী দরকার সে বিষয়ে গুরুত্ব দিলে ফলপ্রসু ব্যবসায়িক লেনদেন হওয়া সম্ভব। প্রয়োজন, আগ্রহ এবং চাহিদা এই তিনটি বিষয়ের সমন্বয় করতে পারলে ব্যবসায়িক যোগাযোগে সফলতা আসে।