বিসিএস’র গৌরবময় ৩৫ বছর উদযাপন
আইসিটি শিল্পের প্রধান বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি (বিসিএস) প্রতিষ্ঠার গৌরবময় ৩৫ বছর উদযাপন করেছে। ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সংগঠনটি ভূলতায় সুবর্ণগ্রাম অ্যামিউজমেন্ট পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টে দিনব্যাপী ‘‘বিসিএস এর ৩৫ বছর’’ উদযাপন উতসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে পালন করে।
বিসিএস আশির দশক থেকেই আইসিটি খাতে নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দ্বারা এই খাতকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। এই পথযাত্রায় সাফল্যও রয়েছে বেশ। ৩৫ বছরের এই যাত্রায় জেআরসি রিপোর্ট, কমপিউটারকে ভ্যাট-ট্যাক্স মুক্ত করে মানুষের হাতে হাতে কমপিউটার পৌঁছে দেয়াসহ বিগত করোনাকালীন সময়েও বিসিএস প্রযুক্তি ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপসহ সংগঠনের ভূমিকা হিসেবে বিসিএস কার্যকর ভূমিকা পালন করে আসছে।
বিসিএস এর ৩৫ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং বিসিএস’র চারবারের সভাপতি ও ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিএস’র উপদেষ্টা স্বদেশ রঞ্জন সাহা, বিসিএস’র প্রথম সভাপতি এস এম ইকবাল, সাবেক কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আতিক-ই-রব্বানি ও বর্তমান মহাসচিব মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৩৫ বছর উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, যুগ্ম মহাসচিব মো. মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন, পরিচালক মোশারফ হোসেন সুমন এবং পরিচালক মো. রাশেদ আলী ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে বিসিএস’র ৮টি শাখা কমিটি সিলেট, বরিশাল, চিটাগাং, কুমিল্লা, যশোর, খুলনা, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী নির্বাহী পরিষদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
বিসিএস এর ৩৫ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে শিশুদের জন্য ছিল নানা রকম খেলনা উপহার। এ ছাড়াও বিভিন্ন রকম খেলাধুলা, নাচ গান এবং সাংস্কৃতিক আয়োজনে উতসব মূখর ছিল অনুষ্ঠান প্রাঙ্গন। অংশগ্রহনকারীরা ভেন্যু ভ্রমণ করার জন্য ঘোড়ার গাড়ি, বৈদ্যুতিক রেলগাড়িতে ভ্রমণসহ বিভিন্ন আয়োজনে অতিথিরা চমকপ্রদ সময় কাটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতা ‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ’ এবং ‘তরুণ প্রজন্মের ভাবনায় বঙ্গবন্ধু’ বিষয়ে দুটি বিভাগে বিজয়ীদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।অনুষ্ঠানে আগত সকল সদস্য এবং তাদের পরিবারের সকলের জন্য বিশেষ উপহার কমফোর্টার এবং ফটো ফ্রেম উপহার দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ৩৫ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠানদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ্য সচিব এন এম জিয়াউল আলম। এ ছাড়াও ১৯৮৭ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত সকল কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
বিসিএস ৩৫ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে বিসিএসর সাবেক সভাপতি আলী আশফাক, ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার, সাবেক মহাসচিব মহাসচিব মো. আজিজুর রহমান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মমলুক সাবির আহমেদ, সাবেক সহসভাপতি এটি শফিক উদ্দিন আহমেদ, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, সাবেক পরিচালক এম শহিদুজ্জামান, সাবেক পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন, বিসিএস উপদেষ্টা মোজাম্মেল হক বাবুসহ বিসিএসর জ্যেষ্ঠ্য সদস্যবৃন্দ এবং প্রযুক্তি খাতের প্রখ্যাত ব্যক্তিদের পদচারণায় সারা দেশ থেকে বিসিএস সদস্যদের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান মহামিলন মেলায় পরিণত হয়। কেক কাটা, আতশবাজি, র্যাফেল ড্র এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে সহযোগি প্রতিষ্ঠান- এসার, এডিএন, আসুস, বি-ট্র্যাক, ড্যাফোডিল কমপিউটার্স, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ডিজিটালএক্স, গিগাবাইট, হালিমা গ্রুপ, হিকভিশন, ক্যাসপারাস্কি, লেনোভো, এলজি, মাইহেলথবিডি, নগদ, নেটিস, নাকটেল গ্লোবাল, ওরিয়েন্ট বিডি, পাকিজা টেকনোভেশন, প্রিজম ইআরপি, রিভ সিস্টেম, সাউথইস্ট ব্যাংক, স্মার্ট টেকনোলজিস, স্টারটেক টোটাল আইটি সল্যিউশন, সিনেসিস আইটি, টেন্ডা, টিআইপি, টিপি লিঙ্ক, ট্রান্সসেন্ড, ইউসিসি, ভ্যালুটপ, ভিউসনিক, ওয়ালটন, এক্সট্রিম এবং ফাইবার এট হোম।