বিসিএস সদস্যরা জামানতবিহীন ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন পাবেন
বাংলাদেশে কমপিউটার সমিতির (বিসিএস) সদস্যদের যাবতীয় ব্যাংকিং সেবা প্রদান এবং জামানতবিহীন ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন দেয়ার লক্ষ্যে বিসিএস এবং প্রাইম ব্যাংকের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল (২১ জুলাই) আইসিটিখাতে বিসিএস সদস্যদের এমএসএমই সুবিধা প্রদানের জন্য অনলাইনে বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর এবং প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহেল আহমেদ এই অ্যালায়েন্সের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিসিএস সহসভাপতি মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, মহাসচিব মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, প্রাইম ব্যাংকের এমএসএমই ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান সৈয়দ এম ওমর তৈয়ব এবং ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স বিভাগের প্রধান নাজমুল করিম চৌধুরী।
বিসিএস এবং প্রাইম ব্যাংকের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে বিসিএস সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো প্রাইম ব্যাংক থেকে লোন সুবিধাসহ অন্যান্য বিশেষায়িত ফাইন্যান্সিং সার্ভিস পাবে। ফলে আইসিটি ও আইটিইএস খাত আরও প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে পারবে। আইসিটি প্রতিষ্ঠানগুলো ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল, ফিক্সড অ্যাসেট ক্রয় ও ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচারের জন্য টার্ম লোন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সলিউশন, ব্যাংক গ্যারান্টি, ওয়ার্ক অর্ডার ইত্যাদি অর্থায়ন সুবিধা পাবে। ডিপোজিট সুবিধা ও ই-ট্রানজেকশনের জন্য ইন্টারনেট ব্যাংকিং – অ্যালটিচুড- সার্ভিস পাবে।
সালমান এফ রহমান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিসিএস প্রথম থেকেই কাজ করে আসছে। তরুণদের আইডল প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দূরদর্শী নির্দেশনায় তথ্যপ্রযুক্তি খাত দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এসএমই খাতকে উৎসাহিত করতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংককে ২ হাজার কোটি টাকার ক্রেডিট ইন্সুরেন্স পলিসি বাস্তবায়ন করতে বলেছেন। সরকার সবসময় ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করে। বিসিএস সদস্যদেরও ব্যাংকের এই সহযোগিতার কথা মাথায় রেখে ঠিক সময়ে লোন পরিশোধ করে ব্যাংকিং খাতকেও উৎসাহিত করা উচিৎ।
মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন এবং এই খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের ফিন্যান্সিয়াল সুবিধা প্রদান করা গেলে তা উভয় পক্ষের জন্য কল্যাণকর। তিন মাসের মতো তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যবসা ছিল না বললেই চলে। ব্যবসায়ীদের অবস্থাও নাজুক ছিল। আমাদের বেশিরভাগ উদ্যোক্তার বয়স ৩৫ বছরের নিচে। তাই এই সময়ে তারুণ্যের উদ্যোমে তাদের হাত ধরে সফলতা আসবেই। আইসিটি খাতে নিত্যনতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি হচ্ছে। ব্লকচেইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং রোবোটিক্সের মতো খাতগুলোতে আমাদের উদ্যোক্তারা কাজ করছে।
রাহেল আহমেদ বলেন, দেশের অর্থনীতিকে বদলে দেয়ার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে পারে দেশের সম্ভাবনাময় তথ্য প্রযুক্তি খাত। গত দুই দশকের অভাবনীয় প্রবৃদ্ধির ওপর ভর করে আগামী কয়েক বছরে এই খাত দেশের অন্যতম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত হিসেবে আবির্ভূত হবে বলেই আমার বিশ্বাস। দেশের সম্ভাবনাময় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য বিসিএস ও প্রাইম ব্যাংকের উদ্যোগে গঠিত এই সহজ অর্থায়ন সুবিধা বিসিএস সদস্যদের পরিচালিত কোম্পানিগুলোকে সহায়তা করবে।