বিসিএস এর উদ্যোগে শেখ রাসেল দিবস উদযাপিত
ক.বি.ডেস্ক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৬০ তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি (বিসিএস) এর উদ্যোগে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে শিশুদের সঙ্গে কেক কেটে শেখ রাসেল দিবস ২০২৩ উদযাপন করেন বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার। অনুষ্ঠানে বিসিএস মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূইয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক সৈয়দ আবুল বারক আলভীসহ সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইঞ্জি. সুব্রত সরকার বলেন, শেখ রাসেল শিশুদের জন্য অনু্প্রেরণা। নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে কেটেছে তার শিশু জীবন। শৈশব থেকেই দুরন্ত প্রাণবন্ত রাসেল ছিলেন পরিবারের সবার অতি আদরের। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে রাসেল সর্বকনিষ্ঠ। বঙ্গবন্ধুর আদরের এই পুত্রের নামকরণের পিছনেও বঙ্গবন্ধুর দুরভিসন্ধি দৃষ্টি ছিল। শিশু রাসেলের স্মরণে বিসিএস এর এই আয়োজন চলমান থাকবে। ভবিষ্যতে আমরা আরো বড় পরিসরে এই আয়োজন করবো।
কামরুজ্জামান ভূইয়া বলেন, আজকের আয়োজনে বিসিএস সদস্যদের সন্তানরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। সবার অংশগ্রহণে শেখ রাসেলের জন্মদিন আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। শেখ রাসেল দিবসের মাধ্যমে শিশুরা বঙ্গবন্ধুর জীবনী এবং শেখ রাসেলের প্রতি তার অঘাত ভালোবাসার কথা কৃতজ্ঞের সাথে স্মরণ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
অধ্যাপক সৈয়দ আবুল বারক আলভী বলেন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশুদের মেধার বিকাশ হয়। তারা তাদের মনের প্রতিচ্ছবি ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলে। আমাদের শিশুরা শেখ রাসেল সম্পর্কে জানার পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কেও এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ধারণা অর্জন করেছে। এই শিশুরা স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ধারণ করে ভবিষ্যতে নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে।
শিশুদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনে দুইটি গ্রুপে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ক বিভাগে প্রথম স্থান ঋষিত শীল ধৃতি, দ্বিতীয় স্থান আরুশি হাসনাত এবং তৃতীয় স্থান জারীর হাসান আয়ান অর্জন করেন। খ বিভাগে প্রথম স্থান ঋষভ শীল হৃদ্ধি, দ্বিতীয় স্থান তাসফিয়া মাহিব সামিরা এবং তৃতীয় স্থান গাজী আয়েশা সিদ্দিকা অধিকার করেন।
আলোচনা সভা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।