বিশ্বমানের আইটি দক্ষতা উন্নয়নে বেসিস ও সিসিপ’র মধ্যে চুক্তি
ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশের যুব সমাজকে দক্ষ করে তোলা, কর্মসংস্থান বাড়ানো এবং বৈশ্বিক আইটি শিল্পে বাংলাদেশকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ তত্বাবধায়নে ২০২৮ সাল নাগাদ আগামী চার বছরে সর্বমোট ৩০০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। সিসিপ’ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে অংশীদারিত্বে অর্থ মন্ত্রণালয় পরিচালিত একটি প্রকল্প।
বিশ্বমানের আইটি দক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পেটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (সিসিপ) প্রকল্পের মধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সিসিপ’র প্রধান কার্যালয়ে বেসিস সভাপতি এম রশিদুল হাসান এবং সিসিপ’র নির্বাহী প্রোগ্রাম পরিচালক মুহাম্মদ ওয়ালিদ হোসাইন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসিস’র সহ-সভাপতি (অর্থ) এম আসিফ রহমান, পরিচালক মীর শাহরুখ ইসলাম এবং বেসিস-বিআইটিএম’র প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী খালেদা বেগম। সিসিপ’র অর্থ বিভাগের সচিব ও জাতীয় প্রোগ্রাম পরিচালক ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, অতিরিক্ত সচিব মো. মাহফুজুল আলম খান এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এম রশিদুল হাসান বলেন, “আইসিটি একটি ক্রসকাটিং সেক্টর। এটি শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট খাতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং আইসিটি বিভিন্ন খাতের মধ্যে একটি শক্তিশালী ভিত্তিমূলক সহায়ক হিসেবে কাজ করে। পাশাপাশি, আইসিটির বাজার দ্রুতই পরিবর্তন হয়। বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ভবিষ্যতের জন্য দক্ষজনবল তৈরি করতে সময়োপযোগী ফ্রন্টিয়ার টেকনোলোজি ভিত্তিক কোর্সগুলো দেশের আইটি খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। এর মাধ্যমে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো ফ্রন্টিয়ার টেকনোলোজিতে আরও বেশি দক্ষতার সঙ্গে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
মুহাম্মদ ওয়ালিদ হোসাইন বলেন, “বেসিসের কৌশলগত কোর্স নির্বাচন অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সিসিপ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা দক্ষ ও উদ্ভাবনী মানবসম্পদ তৈরি করতে চাই, যা বৈশ্বিক আইটি খাতে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।”
