বিপিও শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিশেষ প্রণোদনা চায় বাক্কো
দেশের বিপিও শিল্পের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সরকারের গৃহীত সকল উদ্যোগের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে কাজ করে যাচ্ছে । বর্তমান সময়ে দেশের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরকারি নির্দেশে বন্ধ থাকলেও জরুরি সেবার আওতায় থাকা বিপিও প্রতিষ্ঠানগুলো সারা বাংলাদেশে বিরামহীন ২৪ ঘন্টা কল সেন্টার সেবা, জরুরী গ্রাহক সেবা এবং ব্যাক অফিসের মত সেবাসমূহ প্রদান করে যাচ্ছে।
দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো ব্যক্তি ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ এ কল করে পাচ্ছেন জরুরী পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং এম্বুলেন্স সেবা । একই সঙ্গে দেশের সমস্ত সরকারি তথ্য, অভিযোগসহ অন্যান্য নাগরিক সেবা পেতে রয়েছে ৩৩৩ । এ ছাড়া, ঘরে বসে ডাক্তার অ্যাপয়েন্টমেন্ট, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বা সেবা ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে শুধুমাত্র বিপিও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য । টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট, প্রতিরক্ষা, ই-কমার্স এবং চিকিৎসা খাতসহ অন্যান্য সকল সেক্টরে গ্রাহকসেবা নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে বাক্কোর ১৫০টির অধিক সদস্য প্রতিষ্ঠান । আর এই গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমগুলোকে সফল করার জন্য দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্য চারটি সংগঠনের ( বেসিস, বিসিএস, আইএসপিএবি এবং ই-ক্যাব) ভূমিকাও অনস্বীকার্য ।
বাক্কো সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন বলেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিপিও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সর্বোচ্চ গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করলেও এই সেক্টরের জন্য সরকারের কোনো বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ নেই । একই সঙ্গে, যেহেতু এই শিল্পের কোনো দৃশ্যমান পণ্য নেই তাই ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে সরকারের পূর্বঘোষিত প্রণোদনার কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, এই অবস্থা বিরাজমান থাকলে অদূর ভবিষ্যতে বিপিও প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের জনবলের বেতন-ভাতা, অফিস ভাড়া ও ইউটিলিটি বিল পরিশোধে ব্যর্থ হবে । ফলে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিপিও শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকছে । তাই সরকারের উচিত হবে ৫০০০০ জনশক্তির এই বিশাল পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এই শিল্পের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্রদান করা অথবা জামানতবিহীন ও সুদবিহীন ঋণ প্রদান করা । যা কিনা ৪০০ মিলিয়ন ডলার রপ্তানী আয়ের এই সম্ভাবনাময় খাতটিকে ২০২১ সালের মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার জন্য এবং ১ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ।