বিডিনগ-১৬ সম্মেলনে চলছে কর্মশালা

ক.বি.ডেস্ক: দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ইন্টারনেট প্রকৌশলীদের সংগঠন সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অপারেটর্স গ্রুপের (স্যানগ) ৩৯ এবং বাংলাদেশ চ্যাপ্টার বিডিনগ এর ১৬ সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় চলছে সমসাময়িক বিষয়ভিত্তিক কর্মশালা।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তিনটি গ্রুপে শুরু হয় এই কর্মশালা। এতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা ও ভারতের মোট ১২১ জন প্রশিক্ষণার্থী। এ ছাড়াও রয়েছেন বাংলাদেশের ৪জন সহ মোট ১১জন ফেলোশিপ প্রাপ্ত নেটওয়ার্ক প্রকৌশলী। আগামী ১৩ মে পর্যন্ত চলবে প্রশিক্ষণ কর্মশালা। সন্ধ্যায় সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের স্যানগ-৩৯ ও বিডিনগ-১৬ সম্মেলন।
গতকাল বুধবার (১০ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তিনটি গ্রুপে শুরু হয় এই কর্মশালা। প্রশিক্ষণ ভেন্যুর বোর্ডরুমে আইপিভি৬ প্রয়োগের কারিগরি প্রকৌশল হাতে কলমে শিখছেন নিবন্ধিত ৫৫ শিক্ষার্থী। তাদেরকে স্বশাসিত সিস্টেমে নেটওয়ার্ক সঞ্জালন নিয়ন্ত্রণ প্রটোকল রাউটিং ও ডোমেইন রাউটিং সমর্থন ব্যবস্থার প্রায়োগিক সমস্যার সমাধান শিখিয়েছেন এপনিক এর দক্ষিণ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ট্রেইনিং ডেলিভারিং ম্যানেজার টেরি স্যুইটজার, কনটেন্ট ডেভেলপার মো. আব্দুল্লাহ আল নাসের এবং হোম নেটওয়ার্ক প্রকৌশলী জোবায়ের খান।
মধুমতি হলে অনুষ্ঠিত নেটওয়ার্ক সুরক্ষা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন এপনিক এর টেকনিক্যাল ট্রেইনার ও সিনিয়র নেটওয়ার্ক অ্যানালিস্ট ওয়ারেন ফিঞ্চ, এ এস এম শামীম রেজা এবং সিস্টেম সার্ভিস প্রকৌশলী সুমন সাহা। কর্মশালায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ৪০ জন।
তুরাগ হলে নেটওয়ার্ক অটোমেশন নিয়ে চলমান কারিগরি কর্মশালায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ৩১ জন। প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন হ্যারিকেন ইলেকট্রিক এর নেটওয়ার্ক গবেষক অনুরাগ ভাটিয়া, হোম নেটওয়ার্কর্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রূপেশ বাসনেট এবং সিগ কো-চেয়ার শায়লা শারমিন।
এ প্রসঙ্গে আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে কর্মক্ষেত্রে এসে অনেকেই প্রায়োগিক নানা সমস্যায় পড়েন। এ ছাড়াও সময়ের প্রয়োজনে হালনাগাদ প্রকৌশল জ্ঞান নিয়ে তাদেরকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে আমরা স্যানগ সম্মেলন আয়োজন করছি। এই উদ্যোগ তরুণ প্রকৌশলীদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে বৈশ্বিক ক্ষেত্রে অবদান রাখার উপযোগী করবে।
তিনি আরও বলেন, এই খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতেও আমরা তৎপর। এবার প্রশিক্ষণার্থীদের ১০ শতাংশের ওপর নারী প্রকৌশলী রয়েছে। গত বারের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। একইভাবে বেসরকারি খাতে নিয়োজিতদের পাশাপাশি মোট অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১৪ শতাংশই সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছেন। সরকারি-বেসরকারি যৌথ দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে আশা করি, স্মার্ট বাংলাদেশের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাও এই প্রকৌশলীদের মাধ্যমেই আরো টেকসই, অংশগ্রহণমূলক এবং সুরক্ষিত হবে।