‘বিকাশ পার্টনার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেল হুয়াওয়ে

ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ক্যাশলেস সোসাইটি গঠনে বিকাশকে সহযোগিতার জন্য পঞ্চমবারের মতো ‘পার্টনার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে হুয়াওয়ে। ২০১৭ সাল থেকে হুয়াওয়ে ও বিকাশ কৌশলগত প্রযুক্তি সহযোগিতার মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করে আসছে। বর্তমানে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের পাশাপাশি কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ে মোবাইল মানি সলিউশন বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সেবা সরবরাহ করেছে। গত বছরে হুয়াওয়ে যে পেশাদারিত্বের সঙ্গে বিকাশ-এর সঙ্গে এক কাজ করেছে তারই স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার।
সম্পতি ঢাকার একটি স্থানীয় হোটেলে অনুষ্ঠিত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ‘বিকাশ পার্টনার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ক্যারিয়ার নেটওয়ার্ক বিজনেস গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ঝো শাওফেং (টিম) এবং অ্যাকাউন্ট ডিরেক্টর ডু কংকং-এর হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিকাশ-এর চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর এবং ইভিপি অ্যান্ড হেড অব সাপ্লাই চেইন, প্রোকিউরমেন্ট মোহাম্মদ রাশেদুল আলম।
মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর বলেন, “বিকাশের মূল লক্ষ্য আর্থিক ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক সেবা নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্য অর্জনে গ্রাহকদের সেবা দিতে আমাদেরকে সর্বোচ্চ মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয়। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ আইসিটি অবকাঠামো ও প্রযুক্তি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের সঙ্গে কাজ করে আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী মান নিশ্চিত করতে পেরেছি। হুয়াওয়ের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, গ্রাহকদেরকে সর্বোচ্চ মানের সেবা দিতে আমাদেরকে সক্ষম করে তুলেছে।”
ঝো শাওফেং (টিম) বলেন, “বর্তমানের হুয়াওয়ের ফিনটেক সেবা এশিয়া ও আফ্রিকার ৬০টিরও বেশি বাজারে ব্যবহৃত হচ্ছে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪১০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ প্রতিষ্ঠানটির ফিনটেক সেবা গ্রহণ করছে। বিকাশের সঙ্গে আমাদের এই পথচলা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সম্মিলিতভাবে আমরা এমন এক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারি, যা শুধু ব্যবসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং সব স্তরের মানুষের উপকারে আসবে।”
আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করতে ও দেশের আরও বেশি মানুষকে ডিজিটাল অর্থনীতির আওতায় আনতে ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠান দুইটি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এর ফলে বিকাশ ও হুয়াওয়ের সহযোগিতা আরও দৃঢ় হয়।
সম্প্রতি এমডব্লিউসি ২০২৫-এ হুয়াওয়ে ও বিকাশের ডিজিটাল ঋণ সেবা ‘পে লেটার’-এর জন্য যৌথভাবে ‘গ্লোমো বেস্ট ফিনটেক ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে। এই সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যাংকিংয়ের আওতার বাইরে থাকা জনসাধারণ স্বল্পমেয়াদের ক্ষুদ্র ঋণ নিতে পারেন। সেবাটির মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবার অপ্রতুলতা ও এর ফলে সৃষ্ট বেশি সুদে অপ্রাতিষ্ঠানিক ঋণের মতো সমস্যাগুলোর সমাধান করা সম্ভব হয়েছে।