বাচ্চাদের তৈরী মডেল রকেট উড়লো আকাশে
ক.বি.ডেস্ক: শিশু-কিশোরদের মাঝে বিজ্ঞান চর্চাকে আরও বেশি বাড়িয়ে তুলতে এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন মজার প্রজেক্টের মাধ্যমে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির বিকাশে শিশু-কিশোরদেরকে আরও বেশি উৎসাহিত করার জন্যে বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এবং স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প ৩য় বারের মতো আয়োজন করেছে “রকেট মেকিং ওয়ার্কশপ”।
যেখানে বাচ্চারা নিজেরাই মডেল রকেট তৈরি করছে এবং তাদের তৈরিকৃত রকেট উৎক্ষেপন এর মাধ্যমে তারা রকেটের বিভিন্ন পার্টস সম্বন্ধে জেনেছে, রকেট এর অতিত ইতিহাস, রকেট কিভাবে কাজ করে, সেই সঙ্গে ম্যাথম্যাটিক্যাল বিভিন্ন ক্যালকুলেশনগুলো কিভাবে করার মাধ্যমে একটা রকেট আকাশে উড়তে পারে সেই বিষয়ে তাদের ধারনা দেয়া হয়েছে।
গত শনিবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে অনুষ্ঠিত “রকেট মেকিং ওয়ার্কশপ” এ সারা বাংলাদেশ থেকে ৪ থেকে ১৪ বছর বয়সি প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে। আয়োজনটিতে বাচ্চারা বিভিন্ন গ্রুপ এ বিভক্ত হয়ে ৩ ধরনের মডেল রকেট, ওয়াটার রকেট এবং ভেহিক্যাল রকেট তারা তৈরি করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর এর মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর এর পরিচালক এ কে এম লুৎফুর রহমান সিদ্দীক এবং উদয়ন উচ্চ মাধমিক বিদ্যালয় এর প্রিন্সিপাল জহুরা বেগম।
মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, এই ওয়ার্কশপটির মাধ্যমে বাচ্চাদের মনের মধ্যে একটি বিজ্ঞানের বীজ বপন করা হলো, এদের মধ্যে থেকেই আমরা আমাদের ভবিষৎ বিজ্ঞানীকে দেখতে পাবো এবং বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের এই আয়োজন আমাকে অভিভুত করেছে আমরা সামনের দিনগুলোতে একসঙ্গে আরোও বড় পরিষরে কাজ করবো।
এই প্রসঙ্গে স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প এর ক্রু চিফ আরিফুল হাসান অপু বলেন, বাচ্চাদের মাঝে খেলার ছলে মহাকাশ বিজ্ঞানকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যই এই ধরনের প্রোগ্রাম আমরা সারা বছর করে থাকি তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের এই ওয়ার্কশপ, তবে আগামীতে এই সায়েন্স, টেকনলোজী, ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যাথম্যাটিকস, কম্পিউটিং এবং অন্যন্য বিষয়ে তাদেরকে সিলেবাসভিত্তিক এডুকেশন সিস্টেমে আনার জন্য খুব দ্রুতই আমরা বাংলাদেশে শুরু করতে যাচ্ছি স্পেস অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ যেটার প্রি-রেজিস্ট্রেশন ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং যে কেউ চাইলেই spaceolympiadbd.com থেকে রেজিস্ট্রেশন করে রাখতে পারে।