বাংলাদেশে ওয়াই-ফাই ৭ নিয়ে এলো হুয়াওয়ে
ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওয়াই-ফাই ৭ অ্যাকসেস পয়েন্ট পণ্য নিয়ে এসেছে হুয়াওয়ে। দেশে এই প্রথমবারের মতো ওয়াই-ফাই ৭ ব্যবহার উপযোগী অ্যাকসেস পয়েন্ট পণ্য উন্মোচন করা হয়েছে। সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বাধুনিক ফিচারের এই ওয়াই-ফাই পণ্যগুলো নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক সরবরাহের মাধ্যমে সর্বোচ্চমানের সংযোগ দিতে সক্ষম।
সম্প্রতি কক্সবাজারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ছয়টি ভিন্ন ধরনের ওয়াই-ফাই পণ্য উন্মোচন করে হুয়াওয়ে। ওয়াই-ফাই পণ্যগুলো উন্মোচন করেন হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের ভাইস প্রসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যালেন লিউ, এশিয়া প্যাসিফিকের নেটওয়ার্ক সিটিও ও প্রিন্সিপাল অ্যার্কিটেক্ট ভিক্টর লাপিয়ান, সাউথ এশিয়ার এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্ক সলিউশন সেলসের ডিরেক্টর ম্যানফ্রেড কাই এবং সাউথ এশিয়ার ডাটা কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক সলিউশন বিভাগের নেটওয়ার্ক সলিউশন ডিরেক্টর মির্জা মো. আনজামুল বাশেদ (মারুফ)।
প্রত্যেক ব্যবহারকারীর জন্য মাল্টি-আরইউ ও মাল্টি-লিংক অপারেশন্সের (এমএলও) মতো উন্নতমানের ফিচার সমৃদ্ধ এসব ওয়াই-ফাই পণ্যগুলো আগের প্রজন্মের ওয়াই-ফাইয়ের তুলনায় ল্যাটেন্সি কমিয়ে নির্ভরযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে দেবে। এগুলো ওয়াই-ফাই ৬ পণ্যের তুলনায় তিনগুণ বেশি ব্যান্ডউইডথ দেয়ার পাশাপাশি চারগুণ বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারীকে সংযোগ দিতে সক্ষম। এ ছাড়া ওয়াই-ফাই ৬ পণ্যের তুলনায় এগুলো দশগুণ বেশি নির্ভরশীল। পণ্যগুলোর মাধ্যমে ওয়াই-ফাই ডেটা চুরি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না।
বাজারে আসা ছয়টি ডিভাইসগুলো হলো এয়ারইঞ্জিন ৫৭৭৩-২১, এয়ারইঞ্জিন ৫৭৭৩-২২পি, এয়ারইঞ্জিন ৫৭৭৩-২৩এইচ, এয়ারইঞ্জিন ৫৭৭৩-২৩এইচডাব্লিউ, এয়ারইঞ্জিন ৫৭৭৬-২৬ এবং এয়ারইঞ্জিন ৬৭৭৬-৫৬টিপি। ব্যান্ডউইডথ ক্যাপাসিটি এবং স্মার্ট অ্যান্টেনার বিবেচনায় এই ভ্যারিয়েন্টগুলো আনা হয়েছে।
ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে যেমন অফিস, স্কুল এবং স্টেডিয়ামে এয়ারইঞ্জিন ৬৭৭৬-৫৬টিপি কার্যকর। এয়ার-ইঞ্চিন ৫৭৭৬-২৬, এয়ার-ইঞ্চিন ৫৭৭৩-২৩এইচ, ৫৭৭৩-২৩ এইচডব্লিউ, এয়ার ইঞ্চিন ৫৭৭৩-২২পি এবং এয়ার-ইঞ্চিন ৫৭৭৩-২১ ডিভাইসগুলো ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যবসায়িক কর্মক্ষেত্র, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের ভিতরে নেটওয়ার্ক কাভারেজের জন্য উপযুক্ত।
অ্যালেন লিউ বলেন, “সর্বাধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের আইসিটি খাত এগিয়ে যাচ্ছে। হুয়াওয়ে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী আধুনিক ও উদ্ভাবনী পণ্য সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই জন্যই বাংলাদেশে আমরা ওয়াই-ফাই ৭ নিয়ে এসেছি। এটি শুধু একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নয়; এটি নিরবচ্ছিন্ন, নির্ভরযোগ্য এবং দ্রুত সংযোগের মাধ্যমে ভবিষ্যতের পথে যাত্রা।”
শিক্ষা, উৎপাদন লাইন এবং মেটাভার্স সম্পর্কিত শিল্পগুলোর পাশাপাশি এআর/ভিআর এডুকেশন, অটোমেটিক অপটিক্যাল ইন্সপেকশন ইত্যাদি ক্ষেত্রে পণ্যগুলো ব্যবহারের সুফল পাওয়া যাবে। এসব পণ্য বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরকেও ত্বরান্বিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।