বাংলাদেশ সুইজারল্যান্ডের জন্য একটি সম্ভাবনাময় আউটসোর্সিং গন্তব্য
ক.বি.ডেস্ক: বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের (এসবিসিসিআই ) যৌথ উদ্যোগে গত বুধবার (৭ এপ্রিল) একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত নাটালি শিউআখ্, বাংলাদেশ সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।
উভয় দেশের রাষ্ট্রদূত দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ইতিবাচক উন্নয়নকে স্বাগত জানিয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। বাংলাদেশে বিদ্যমান ব্যবসায়ের পরিবেশ নিয়ে আলোচনা হয়। তারা বলেন কোভিড-১৯ মহামারি এবং সহজে ব্যবসা করা সংক্রান্ত কিছু বাধা সত্ত্বেও সুইস বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের বাজারে আশাব্যঞ্জক সম্ভাবনা দেখছে এবং সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক ক্রমশ বাড়ছে। সুইস পরিসংখ্যান অনুসারে দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্য ২০১০ সাল থেকে তিনগুণ বেড়ে গত বছর ৮৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে।
ড. মো. জাফর উদ্দীন বলেন, সুইজারল্যান্ড এবং বাংলাদেশ প্রায় পাঁচ দশক ধরে গভীর এবং ভবিষ্যতমুখী সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। উভয় দেশ বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উন্নয়নসহ অন্য ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত অনুসন্ধান করবে। দুইদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সুসম্পর্ক বিদ্যমান যা পরস্পরের জন্য লাভজনক। উচ্চ সম্ভাবনাময় খাত হিসাবে বাংলাদেশী রফতানি নীতিতে আইসিটিকে উল্লেখ করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশের সুইজারল্যান্ড দূতাবাস এবং বাংলাদেশ দূতাবাস জেনেভা ভবিষ্যতে সম্মিলিতভাবে আইসিটি খাতের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ইনভেস্টরদেরকে আহ্বান জানান যেন তারা বাংলাদেশকে একটি সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে বিবেচনা করে এখানে আরও বেশি কাজ করতে আগ্রহী হন।
সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নীতিমালা প্রণয়নের পর থেকে বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি লাভজনক গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। সেইসঙ্গে দক্ষ জনশক্তি নিয়ে বাংলাদেশ এখন আউটসোর্সিংয়ের জন্যেও একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য বলে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের আইসিটি খাতের বিভিন্ন সক্ষমতার দিকে আলোকপাত করে তিনি সুইস বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং পরবর্তীতে সুইস আইটি কোম্পানিদের সঙ্গে বিটুবি ম্যাচমেকিং সেশন, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরসহ আরও বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রমের আয়োজন করার ইচ্ছা পোষণ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বেসিস সহ সভাপতি মুশফিকুর রহমান, এসবিসিসিআই সভাপতি নকিব খান, এসবিসিসিআই সেক্রেটারি জেনারেল সাদ ওমর ফাহিম এবং সিকিউর লিংক সার্ভিসেস বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুলিয়ান এ ওয়েবার। ৮২টি বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠান এবং ২০টি এসবিসিসিআই সদস্য প্রতিষ্ঠান এই ওয়েবিনারটিতে অংশগ্রহণ করেন।