বর্তমান প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান প্রতিমন্ত্রী পলকের
ক.বি.ডেস্ক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন আদর্শ অনুসারী হয়ে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটা নেতাকর্মীর নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণ করতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে “ইতিহাসের গতিধারায় বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা” শীর্ষক সংবাদচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী পলক এসব কথা বলেন।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “জুন মাস বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ববহ একটি মাস। এই মাসেই ঐতিহাসিক ‘ছয় দফা’ বাঙালির মুক্তির সনদ ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৯ সালের এই জুন মাসেই বাংলার মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষায় বাংলাদেশের প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। যেই দলের ছায়াতলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা ১৯৫২ সালে অর্জন করেছি মায়ের ভাষা বাংলা, ১৯৭১ সালে পেয়েছি সার্বভৌমত্ব ও মহান স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন ও মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।”
তিনি আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন রাজনৈতিক স্বাধীনতা তখনই সফল হয়, যখন একটি দেশ অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করে। রাজনৈতিক মুক্তি ও অর্থনৈতিক মুক্তি তখনই টেকসই হয়, যখন একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লব সফল হয়। বাংলার মানুষের সেই রাজনৈতিক মুক্তির জন্য আমাদেরকে স্বাধীনতা উপহার দিয়েছেন ও অর্থনৈতিক মুক্তির ভিত্তি রচনা করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। আর বঙ্গবন্ধুর সেই অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে সফল করার লক্ষ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”