ফোর্বস এশিয়ার ১০০ টু ওয়াচ-এ পাঠাও
ক.বি.ডেস্ক: পাঠাও ফোর্বস এশিয়ার “১০০ টু ওয়াচ ২০২৫” তালিকায় জায়গা পেয়েছে। এই তালিকায় এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় এবং দ্রুত এগিয়ে চলা কোম্পানিগুলোকে বেছে নেয়া হয়। ফোর্বসের এই স্বীকৃতি শুধু পাঠাও-এর জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের ভিশন, পরিশ্রম আর অগ্রগতির প্রতীক।
পাঠাও আসন্ন অক্টোবর মাসে ১০ বছর পূর্তি উদযাপন করবে। ২০১৫ সালে ছোট একটি ডেলিভারি সেবা দিয়ে যাত্রা হয়েছিল। আজ এক দশক পরে, পাঠাও বাংলাদেশ ও নেপালের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের অংশ হয়ে ওঠেছে। এখন পর্যন্ত ১ কোটিরও বেশি মানুষ পাঠাও ব্যবহার করেছেন এবং প্রায় ৫ লাখ মানুষ পাঠাও-এর মাধ্যমে আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন।
দ্বিতীয় দশকে প্রবেশ করার সময়, এই অর্জন সামনে এগিয়ে যাওয়ার আরও বড় অনুপ্রেরণা। গত ১০ বছর পাঠাও প্রমাণ করেছে যে একটি বাংলাদেশি কোম্পানি বিশ্বে আলাদা পরিচয় তৈরি করতে পারে। আগামী ১০ বছরের লক্ষ্য হবে আরও দূর এগিয়ে যাওয়ার, পাঠাও পে-এর মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা বাড়ানো, প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও নতুন সেবা নিয়ে আসার এবং আরও বেশি বৃদ্ধির ও অগ্রগতির সুযোগ তৈরি করা।
পাঠাও-এর সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন- “ফোর্বস এশিয়ার ১০০ টু ওয়াচ তালিকায় জায়গা পাওয়া এবং পাঠাও-এর ১০ বছর পূর্তি এ দুটোই প্রমাণ করে আমরা কতটা দূর এগিয়েছি, কীভাবে মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনছি এবং একটি আরও কানেক্টেড ও শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি কতটা দৃঢ়। একই সঙ্গে এটি মনে করিয়ে দেয় যে আমাদের পথচলা এখনও অনেক বাকি। আমরা ১০ বছরের সাফল্য উদযাপন করছি কৃতজ্ঞতা নিয়ে, এবং সামনে আরও কোটি মানুষের জীবনে সেবা, সংযোগ ও উন্নতির সুযোগ তৈরি করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।”
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, ৩,০০,০০০ ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্ট, ২ ,০০,০০০ মার্চেন্ট এবং ১০,০০০ রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে পাঠাও। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫,০০,০০০-এরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
