ফাইবারগ্লাস টাওয়ার স্থাপন করতে যাচ্ছে ইডটকো ও হুয়াওয়ে
ক.বি.ডেস্ক: পরিবেশ-বান্ধব ফাইবারগ্লাস রিইনফোর্সড প্লাস্টিক (এফআরপি) দিয়ে তৈরি উন্নত টেলিকমিউনিকেশন টাওয়ার চালু করতে যাচ্ছে ইডটকো বাংলাদেশ ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। এর ফলে ইডটকো বাংলাদেশ হবে দেশের প্রথম টাওয়ার কোম্পানি যারা মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের ফাইবারগ্লাস টাওয়ার সমাধান প্রদান করবে। এক্ষেত্রে এফআরপি টাওয়ার তৈরিতে দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে টেকনোলজি পার্টনার হিসেবে ইডটকো টিমের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে হুয়াওয়ে।
সম্প্রতি স্পেনের বার্সেলোনায় আয়োজিত ‘মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস’ (এমডব্লিউসি) এ ইডটকো ও হুয়াওয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
নতুন এই এফআরপি সলিউশন্স টাওয়ারের ওজন কমাবে ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত এবং ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত নির্মাণ দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। এটি হবে দেশের জনবহুল এলাকাগুলোর রুফটপ সাইটের জন্য একটি আদর্শ সমাধান। এই টাওয়ারগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে এতে রেডিও তরঙ্গ প্রতিফলিত না হয়। তাই এটি দক্ষ মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশন নিশ্চিত করে। এর স্থায়িত্ব কোনো রকম ক্ষতি ছাড়াই হাই ভোল্টেজ সহ্য করার সক্ষমতা প্রদান করে।
তা ছাড়া, এগুলো ইনস্টল এবং পরিবহন করাও সহজ। এ কারণে আরও দক্ষতার সঙ্গে নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। এর পরিবেশ-বান্ধব ফিচার কম কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ নিশ্চিত করে এবং ঘন-ঘন রঙ করার প্রয়োজনীয়তাও হ্রাস করে। এই অনন্য টেলিকম অবকাঠামোর মাধ্যমে বাংলাদেশের উদীয়মান টাওয়ার ইন্ডাস্ট্রিতে আরও অবদান রাখা সম্ভব।
ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল আইজ্যাক বলেন, “আমাদের এই অংশীদারিত্ব হলো বাংলাদেশের সমৃদ্ধিশীল টেলিকম অবকাঠামো উন্নত করার ক্ষেত্রে একটি অসাধারণ সুযোগের উপস্থাপন। এই ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যত গঠনে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উন্নত টেকসই অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত রাখার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাব। ”
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট হুয়ে বলেন, “বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় প্রবৃদ্ধিতে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে ইডটকো ও হুয়াওয়ে। এবং আমদের নতুন এই যৌথ পদক্ষেপ প্রতিশ্রুতিরই আরও একটি প্রমাণ। সাইটের সুযোগ-সুবিধার সহজলভ্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি টাওয়ার অবকাঠামো শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে আমরা একসাথে কাজ করব। আমি বিশ্বাস করি হুয়াওয়ে’র যুগান্তকারী উদ্ভাবনসমূহ এবং ইডটকো’র দক্ষতার সমন্বয়ে আমরা একটি টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাব।”