অন্যান্য মতামত

পর্নোগ্রাফি ও জুয়ার সকল সাইট-লিংক বন্ধের দাবি

ক.বি.ডেস্ক: দেশে জুয়া খেলা বাড়ছে, বাড়ছে সাইবার অপরাধ সেই সঙ্গে তরুণ প্রজন্ম পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়েছে। যার ফলে বাড়ছে ইন্টারনেটের অপব্যবহার বা ইন্টারনেট আসক্তি, পর্নোগ্রাফি আসক্তি। আর এর মাধ্যমে বাড়ছে বিষন্নতা, মানসিক চাপ, উদ্যেগ। যা অত্যন্ত ভয়াবহ দেশের আগামী প্রজন্ম হুমকির মুখে।

সাম্প্রতিক সময়ে এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে দেশে কিশোর কিশোরীদের ৬৩ শতাংশ ইন্টারনেটে আসক্ত। বিষন্নতায় ভুগছে ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশ। গবেষণাটিতে সবচাইতে ভয়াবহ তথ্য হচ্ছে কিশোর কিশোরীদের মধ্যে ৬২.৯ শতাংশ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। দেশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী জুয়ায় আসক্ত।

আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে, এ থেকে মুক্তি পেতে ‘পর্নোগ্রাফি ও জুয়ার সকল সাইট-লিংক’ বন্ধের দাবি জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা নাগরিক সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বিটিআরসি ১২ হাজারের অধিক অনলাইন ব্যাটিং সাইট বন্ধ করে। এমনকি পর্নোগ্রাফির বহু সংখ্যক সাইট বন্ধ করে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে বন্ধ করা যায়নি এবং কার্যক্রম চলমান রাখতে পারেননি নিয়ন্ত্রক কমিশন এমনকি টেলিকমিউনিকেশন নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত এনটিএমসি। পাড়া মহল্লায় একটি ডিভাইস ব্যবহার করে দুই বা ততোধিক চারজন এমনকি দর্শক হিসেবে আরও ৪-৫ জন মিলে জুয়া খেলায় লিপ্ত হচ্ছে। এ সকল জুয়া খেলায় প্রথমে কিছু অর্থ প্রাপ্ত হলেও ৯৯% ক্ষেত্রেই প্রতারিত হয়। আর এ সকল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও লিংক অনলাইনে হাজার হাজার। পর্নোগ্রাফি সাইটে ঢুকলেই জুয়ার বিজ্ঞাপন। এমনকি সকল জুয়ার বিজ্ঞাপনে দেশি-বিদেশি নামকরা সেলিব্রেটি অংশ নিতে দেখা যায়।”

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ফায়ারফক্স, মজিলা, ওপেরা মিনি, ব্যাটা, এমনকি ক্রোম ব্রাউজারে অবাধে সার্চ দিলেই মিলছে পর্নোগ্রাফির লিংক। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেজ খুলে যৌন ব্যবসার বিজ্ঞাপন চলছে। যে বিজ্ঞাপনে স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকের হোয়াটসঅ্যাপে সংযুক্ত হয়ে যাচ্ছে। গ্রাহকের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে ঐ সকল অপরাধী যৌন ব্যবসায়ী। পর্নো এবং জুয়া এ দুটি ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। যারা ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়ছেন বিশেষ করে যাদের জুয়া এবং পর্নোগ্রাফিতে আসক্তি বেশি তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “জুয়া বা পর্নোগ্রাফি সাইড-লিংক এমনকি অ্যাপগুলো বন্ধ করা না গেলে আগামী প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নানা শ্রেণীর বয়সের লোকজন। সরকারকে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে গণমাধ্যম, অপারেটর, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, সরকার এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন নিরাপত্তায় জনসচেতনতা তৈরি করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। কেবলমাত্র নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারেই দেশের সমৃদ্ধি বয়ে আনতে পারে।”

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *