নতুন সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন গ্রামীণফোনের
ক.বি.ডেস্ক: নতুন সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন করেছে দেশের মোবাইল ফোন অপারেটর ও প্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন লিমিটেড। সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এ পৃথক দু’টি চিঠিতে এ আবেদন জানায় অপারেটরটি।
সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় গত ২৯ জুন অনির্দিষ্টকালের জন্য গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় বিটিআরসি। বিটিআরসি জানিয়েছিল, অপারেটরটির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অভিযোগ এবং বিটিআরসির পরীক্ষাতেও সেবার মান সন্তোষজনক না হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সেবার মান ও ডিজিটাল সার্ভিস আরও শক্তিশালী করতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠানো চিঠিতে গ্রামীণফোন তাদের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে: নেটওয়ার্ক বিস্তৃতিকরণ ও সেবার মান উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ২০২১ ও ২০২২ সালে সর্বোচ্চ স্পেকট্রাম ক্রয় করে গ্রামীণফোন; ২০২২ সালের মধ্যে টাওয়ার কোম্পানির মাধ্যমে অপারেটরটি আরও ১৯০০ টাওয়ার নির্মাণ করবে, যা সেবার মান উন্নয়নে সহায়তা করবে; গ্রামীণফোনের মোট ১৪ হাজার ৫০০টি সাইটে ১০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম নিয়োগ করে। এ ছাড়াও গ্রাহকদের ডেটা এক্সপেরিয়েন্স বাড়াতে ১৫ হাজার ৫৫০টি সাইটের ব্যান্ডউইথ ১০ মেগাহার্টজ থেকে ১৫ মেগাহার্টজ-এ উন্নয়ন করে।
এনটিটিএস পার্টনারদের সহযোগীতায় গ্রামীণফোন ফাইবারাইজেশন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করছে। ২০২২ সালে অপারেটরটি ২৩১৬ কিলোমিটার এলাকা ফাইবারের আওতায় নিয়ে আসে, যা ২০২১ সালের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি এবং আগের বছরের তুলনায় অপারেটরটি সাইটগুলোতে ফাইবার কানেক্টিভিটি বাড়িয়েছে ৭৫ শতাংশ; ঢাকার গ্রাহকদের উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদান ও সেবার মান বাড়াতে অপারেটরটি ফ্রিকোয়েন্সি অপটিমাইজেশনের কাজ করছে; অপারেটরটি নতুন কেনা ২৬০০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম ব্যবহার শুরু করেছে। ইতোমধ্যে গ্রামীণফোন বিটিআরসি ও এনবিআর’কে প্রথম ইন্সটলমেন্টের ২৪৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসিকে দেয়া চিঠিতে গ্রামীণফোন দাবি করে: কোয়ালিটি অব সার্ভিস নিশ্চিত করতে বিটিআরসি’র নির্ধারণ করে দেয়া সব শর্ত পূরণ করে আসছে তারা; বিটিআরসি’র কোয়ালিটি অব সার্ভিস রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২১ সালে জিপির কল ড্রপ রেট ছিল ০.২২ শতাংশ, যা শর্ত অনুযায়ী ৯ গুণ কম। অপারেটরগুলোর কলড্রপ ২ শতাংশ পর্যন্ত স্বাভাবিক ধরা হয়। এমনকি গ্রামীণফোনের এই কলড্রপ দ্বিতীয় বেস্ট অপারেটরের থেকে ২ গুণ কম; ২০২২ সালে বিটিআরসি’র সঙ্গে গ্রামীণফোনও টেস্ট ড্রাইভ পরিচালনা করে, যেখানে সব বিভাগে কোয়ালিটি অব সার্ভিসের সব শর্ত পূরণ করেছে অপারেটরটি।
চিঠিতে গ্রামীণফোন জানায়, কোয়ালিটি অব সার্ভিস নিশ্চিতে ধারাবাহিক প্রচেষ্টা জরুরি, যা রেগুলেটরের সহযোগীতায় গ্রামীণফোন করে যাচ্ছে। অপারেটরটির এসব উদ্যোগ সবাইকে সংযুক্ত হতে সহায়তা করবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে একজন ইকোসিস্টেম প্লেয়ার হিসেবে কাজ করে যাবে। চিঠিতে নতুন সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানায় গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ।