নতুন আইএসপি লাইসেন্স দিচ্ছে বিটিআরসি
ক.বি.ডেস্ক: দেশে দীর্ঘসময় ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বা আইএসপি লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রাখার পর নতুন কিছু প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) । বিপুল সংখ্যক লাইসেন্স আবেদনের চাপে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ঘোষণা দিয়ে আবেদন করা বন্ধ রাখতে হয়েছিল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসিকে।
এরপর বিটিআরসি ‘আইএসপি সংখ্যা নিরুপন সংক্রান্ত’ নীতিমালা করে। নীতিমালা অনুযায়ী এখন এই লাইসেন্স দিচ্ছে তারা। আবেদন বন্ধের ঘোষণার আগ পর্যন্ত আবেদন করা ১৬০টি নতুন প্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়ন করা হয়। সেখান থেকেই নতুন এই লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে।
যেখানে ৩টি জেলা, ১০টি উপজেলা আইএসপি লাইসেন্সের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে সুপারিশ পাঠাচ্ছে বিটিআরসি। এছাড়া ২ বিভাগীয় লাইসেন্সের জন্য তাদের জেলা প্রশাসকের প্রতিবেদন পেলে তারও সুপারিশ পাঠানো হবে। টেলিযোগাযোগ বিভাগের অনুমোদন পেলে তার লাইসেন্স চূড়ান্ত করা হবে।
বিটিআরসি বলছে, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভবিষ্যতে আইএসপি লাইসেন্স সংখ্যা নিরুপন নীতিমালা, যাচাই-বাছাই কমিটির প্রতিবেদন এবং টেলিযোগাযোগ বিভাগের মতামতের প্রেক্ষিতে নতুন করে লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, ‘নতুন লাইসেন্সের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু যারা ইতোমধ্যে বাজারে আছে এবং তারা তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চাচ্ছে, তাদের আপগ্রেডেশন দেয়া হচ্ছে না। আপগ্রেডেশনের জন্য দুই শতাধিক আবেদন রয়েছে। এখন আপগ্রেডেশন না দিয়ে নতুন লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে, এটা পলিসির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেন তিনি’।
লাইসেন্স পেতে পারে এমন তালিকায় বিভাগীয় ক্যাটাগরিতে রয়েছে এমপার অনলাইন এবং বরিশাল ইন্টারনেট সার্ভিস। দুটি প্রতিষ্ঠানই বরিশাল বিভাগের। জেলা আইএসপি ক্যাটাগরিতে রয়েছে, ময়মনসিংহের অ্যাসিউর নেটওয়ার্ক এবং স্পেস লিংক ইন্টারনেট, কক্সবাজারের মিম অনলাইন।
উপজেলা বা থানা আইএসপি ক্যাটাগরিতে রয়েছে, রায়পুরার আরজে অনলাইন, বাসনের সাজিহা নেটওয়ার্ক,আগৈলঝরার পিএস স্পিড নেটওয়ার্ক,কাশিয়ানির আফিক কমিউনিকেশন, চুয়াডাঙ্গার রংধনু অনলাইন এবং বাগমারার বিউআইএসপি, গাছার রিপন ইন্টারনেট, কুমিল্লা সদর দক্ষিণের সিটি ইন্টারনেট, শিবগঞ্জের লিংক শিপগঞ্জ ইন্টারনেট এবং কয়রার মিতালি কমিউনিকেশন।
বিটিআরসির তালিকা অনুযায়ী দেশে ন্যাশনওয়াইড ১১৮টি, ডিভিশনাল ৩৩৮টি, জেলা ১৪২টি, উপজেলা বা থানা ২২০৬টি লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। তবে বছর বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরির লাইসেন্সও নানা কারণে বাতিল করা হচ্ছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের মে মাসে বাতিল করা হয় ২২৮টি লাইসেন্স, সেপ্টেম্বরে করা হয় ১৪টি এবং অক্টোবরে ৪টি। নীতিমালা অনুযায়ী কোনো ক্যাটাগরিতে নতুন লাইসেন্স দেয়ার সুযোগ থাকলে কিংবা কোনো লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পর সুযোগ তৈরি হলে সেখানে লাইসেন্স ইস্যুর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
তথ্যসুত্র: টেকশহর ডট কম