দেশের প্রথম কমার্শিয়াল টিয়ার ফোর ডাটা সেন্টার ‘সাইফার’
ক.বি.ডেস্ক: যাত্রা করেছে দেশের প্রথম সার্টিফায়েড টিয়ার ফোর কমার্শিয়াল কো-লোকেশন ডাটা সেন্টার ‘সাইফার’। এই সাইফার দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশের প্রিমিয়ার ডাটা সেন্টার হিসেবে সর্বোচ্চ নির্ভরযোগ্যতা, নিরাপত্তা ও কার্যকর আস্থার নিশ্চয়তা দেয় সাইফার, ডিজিটাল ক্ষেত্রে যা বেশ গুরুত্বপূর্ন। রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাকজেনটেক আনুষ্ঠানিকভাবে সাইফার এর যাত্রার ঘোষণা দিয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই ডাটা সেন্টারটি যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে অবস্থিত।
যশোরে ১৬ হাজার ৫০০ বর্গফুটের সাইফার এর ভবনটিতে আছে পাওয়ার ব্যাকআপ, এডভান্সড কুলিং মেশিনারিসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সাইফার কাজ করে যাওয়ার সক্ষমতা রাখে। ডিজিটাল অবকাঠামোর মান নিরূপণে বিশ্বব্যাপি স্বীকৃত সংস্থা আপটাইম ইনস্টিটিউট এর কাছ থেকে সম্মানজনক টিয়ার ফোর সনদ অর্জন করেছে সাইফার। নিরবিচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত বিদ্যুতসহ অন্যান্য সব প্রযুক্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া ৯৯.৯৯৫% আপটাইম বিশিষ্ট সাইফার এ আছে বায়োমেট্রিক একসেস কন্ট্রোলের মত মিলিটারি গ্রেড সিকিউরিটি। সাইবার হুমকিসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নেয়া হয়েছে যথাযথ ব্যবস্থা।
গতকাল শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যাত্রা করে দেশের প্রথম কমার্শিয়াল টিয়ার ফোর ডাটা সেন্টার ‘সাইফার’। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ্। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব শেঠি, অ্যাকজেনটেক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদিল হোসেন নোবেল, চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত দেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা যশোরে উদ্বোধন হলো দেশের প্রথম সার্টিফায়েড টিয়ার ফোর কমার্শিয়াল কো লোকেশন ডাটা সেন্টার সাইফার। আমরা গর্বের সঙ্গে বর্হিবিশ্বকে বলতে পারি যে আমাদের দেশেও বিশ্বমানের ডাটা সেন্টার রয়েছে। এই পথ অন্যরাও অনুসরণ করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও সমৃদ্ধশালী করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।’’
রাজীব শেঠি বলেন, ‘‘সাইফার এর যাত্রা শুরু হওয়াটা বাংলাদেশের স্মার্ট উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি দারুণ পদক্ষেপ। রবি বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। সাইফারের যাত্রা রবি’র সেই প্রতিশ্রুতিকেই তুলে ধরে। রবি’র সহযোগিতায় অ্যাকজেনটেক পিএলসি দেশকে ডিজিটাল সম্ভাবনার দিকে নিতে প্রযুক্তিগত সমাধান উদ্ভাবনের জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।’’
আদিল হোসেন নোবেল বলেন, ‘‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে সাইফার একটি মাইলফলক। বড় পরিসরে ডাটা সেন্টারের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে দেশের কারিগরি উৎকর্ষের জন্য স্মার্ট ডাটা ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে সাইফার।’’