দেশে ব্যাচেলর ইন ডেটা সায়েন্স চালু করছে ইউসিবিডি

ক.বি.ডেস্ক: ‘শেপিং দ্য ফিউচার উইডথ ডেটা: গ্লোবাল ট্রেন্ডস অ্যান্ড বাংলাদেশ’স পাথ’ শীর্ষক এক মাস্টারক্লাসের আয়োজন করেছে ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবিডি)। এই মাস্টারক্লাসে বর্তমান সময়ে ডেটা সায়েন্সের গুরুত্ব এবং দেশে ও বৈশ্বিক পর্যায়ে ডেটা সায়েন্সের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি শীঘ্রই দেশে ‘ব্যাচেলর ইন ডেটা সায়েন্স’ চালুর ঘোষণা দেয়া হয়। ডেটা সায়েন্স বিশ্বের সেরা অ্যাকাডেমিক কোর্সগুলোর মধ্যে অন্যতম।
গতকাল সোমবার (১৭ আগস্ট) ইউসিবিডি’র স্টুডেন্ট লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত মাস্টারক্লাসে উপস্থিত ছিলেন ইউসিবিডির প্রোভোস্ট অধ্যাপক হিউ গিল, এলএসই’র অ্যাসোসিয়েট অ্যাকাডেমিক ডিরেক্টর ড. জেমস অ্যাবডে, লার্ন উইডথ সুমিতের (এলডব্লিউএস) প্রধান নির্বাহী সুমিত সাহা।
মাস্টারক্লাস আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য এইচএসসি ও এ২ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের ডেটা সায়েন্সের বৈশ্বিক গুরুত্ব এবং বাংলাদেশে ডেটা প্রফেশনালদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে ধারণা প্রদান করা। একইসঙ্গে, শিক্ষার্থীরা যেন তাদের সামনে থাকা সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন। মাস্টারক্লাসে শিক্ষার্থীদের সামনে ডেটা সায়েন্সের তাৎপর্য এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
ড. জেমস অ্যাবডে বলেন “ইউসিবি ডেটা সায়েন্স অ্যান্ড বিজনেস অ্যানালিটিকস বিষয়ে ব্যাচেলর অব সায়েন্স (বিএসসি) ডিগ্রি প্রদানের অনুমোদন পেয়েছে। বিশ্ব এখন আরও বেশি ডেটা-নির্ভর হয়ে ওঠছে; এখন ডেটা নিয়ে দক্ষতা অর্জন যেমন ব্যক্তিগত পর্যায়ে সফলতা নিয়ে আসবে তেমনি, সার্বিকভাবে বাংলাদেশের মানবসম্পদের অবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।”
সুমিত সাহা বলেন, “বাংলাদেশে ডেটা প্রফেশনালদের চাহিদা খুব দ্রুতগতিতে বাড়ছে। বর্তমানে ডেটা হচ্ছে ‘নিউ অয়েল।’ এক সময় যেমন তেল ছিলো অর্থনীতির গতি নির্ধারক, এখন ঠিক তেমনি ডেটা উদ্ভাবন ও সুযোগ তৈরির অন্যতম চালিকাশক্তি। আপনি যদি ডেটা ভালোভাবে আয়ত্তে আনতে পারেন, তাহলে জাতীয় ও বৈশ্বিক উভয় পর্যায়েই পেশাগত জীবনে সফলতা অর্জনের দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে।”