দেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার বাড়ায় এ নিয়ে আইন হচ্ছে: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
ক.বি.ডেস্ক: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) ব্যবহার বাড়ায় এ নিয়ে আইন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের গুরুত্ব বাড়ছে। ফলে এআই’র ইতিবাচক দিকগুলো কাজে লাগানো এবং নেতিবাচক দিকগুলো পরিহার করার মাধ্যমে সার্বিক পরিকল্পনা নিয়ে এ বিষয়ে একটি আইন করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ সময় বৈঠকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, “আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে খসড়া আইন প্রণয়ন করা সম্ভব হবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে একটা ড্রাফট (খসড়া) করা হবে। সেখানে কী কী থাকবে, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত জনপ্রিয়তার মধ্যে এর নিয়ন্ত্রণেও বিভিন্ন দেশ উদ্যোগী হয়েছে। পশ্চিমা উন্নত দেশগুলোও এআই নিয়ন্ত্রণে আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে। গুগলের জেমিনি বা মাইক্রোসফটের চ্যাটজিপিটির মতো এআইগুলো এখন বিশ্বের আলোচিত বিষয়। লেখালিখি থেকে শুরু করে প্রশ্নোত্তরসহ নানা ধরনের সৃষ্টিশীল কাজ এখন এআই দিয়েও করা হচ্ছে।”
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি সিদ্ধান্ত। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট গভর্নেন্স, স্মার্ট অর্থনীতি করতে হলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে বাইপাস করে কিছু করতে পারব না। আগামী দিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরিবর্তনটা কত দ্রুত হচ্ছে, এর ব্যবহার কতটুকু আমরা আমাদের অর্থনীতির সমৃদ্ধি আনার জন্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য করতে পারি। বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার জন্য রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য এটার কী কী ব্যবহার হতে পারে যেটি উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে, উদ্যোক্তাদের নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দেবে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে ভয়ানক পরিণতি আশঙ্কা করা হচ্ছে যা বিভিন্ন গবেষক এবং উদ্ভাবক বলছেন। সেটিকে মাথায় রেখে আইনমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের জনগণ, জাতীয় নিরাপত্তা এবং বিশ্ব নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের কোনো অপপ্রয়োগ যাতে না হয় সেটা মাথায় রেখেই আমরা আইনটা প্রণয়ন করব। এ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন দেখেছি, পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিকিউটিভ অর্ডার দেখেছি, দক্ষিণ কোরিয়াসহ যেসব দেশ ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন পলিসি, গাইডলাইন, আইন করেছে সেগুলো স্টাডি করছি। পাশাপাশি বাংলাদেশের মেধাবী ছেলেমেয়ে যারা পড়াশোনা করেছে এবং জানে বোঝে তাদের মতামত নিয়ে এবং স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে মন্ত্রীর কাছে আবার আসব।”