দেশব্যাপী চালু হল ‘ডিজিটাল হাট’
ক.বি.ডেস্ক: দেশের সকল জেলা-উপজেলার কোরবানির হাটগুলো একই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আনার লক্ষ্যে মতস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগ ও ই-ক্যাব এর যৌথ উদ্যোগে এবং এটুআই’র কারিগরি সহযোগিতায় দেশব্যাপী একযোগে চালু হলো ‘ডিজিটাল হাট’ (digitalhaat.net)। দেশব্যাপী ডিজিটাল হাট কাজটি বাস্তবায়ন করছে এটুআই’র একশপ ও ফুড ফর নেশন। কোরবানি পশুর ক্রেতা-বিক্রেতারা অনলাইনে www.digitalhaat.net সাইটে ভিজিট করে ডিজিটাল হাট থেকে ঘরে বসে কোরবানির পশু কেনা-বেচা করতে পারবেন। এ ছাড়া www.ekshop.gov.bd এবং www.foodfornation.gov.bd সাইট থেকেও এই ডিজিটাল হাটের সুবিধা পাওয়া যাবে।
আজ মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) অনলাইনে আয়োজিত দেশব্যাপী ‘ডিজিটাল হাট’ প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি মতস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, মতস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ এবং এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব (ই-গভর্নেন্স) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, এটুআই’র হেড অব ই-কমার্স (টিম লিড-একশপ) রেজওয়ানুল হক জামি, ই-ক্যাব সভাপতি শমি কায়সার এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ তমাল বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালনা করেন এটুআই’র ন্যাশনাল কনসালটেন্ট শাহরিয়ার হাসান।
সরকারি নির্দেশনা অনুসারে এই প্ল্যাটফর্মটিতে সকল বিভাগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অনলাইন হাটগুলোকে যুক্ত করা হয়েছে এবং দেশের সকল পর্যায়ের পশু বিক্রেতাদের একত্রিত করা হয়েছে। এখানে একজন ক্রেতা ঘরে বসেই বাংলাদেশের যেকোন প্রান্তের গরু বিক্রেতার গরুটি দেখতে পারবেন এবং কিনতে পারবেন। এ প্ল্যাটফর্মে ক্রেতা-বিক্রেতারা দেশের সকল ডিজিটাল হাটগুলোর তথ্য পাবেন যার ফলে পশু বিক্রেতারা তাদের নিজ এলাকার অনলাইন হাটেও পশু বিক্রি করতে পারবেন। এই সিস্টেমে এসক্রো পেমেন্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, যেখানে ক্রেতার ডিজিটাল মাধ্যমে পরিশোধিত মূল্য নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে স্থির রাখা হয় এবং ক্রেতার পণ্য প্রাপ্তি ও সন্তুষ্টি নিশ্চিত হওয়ার পর বিক্রেতার কাছে সেটির নিষ্পত্তি করা হয়।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, এই ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে একদিকে কোরবানির পশু বিক্রেতারা যেমন ন্যায্যমূল্য পাবেন তেমনি অন্যদিকে ক্রেতারা পাবেন সঠিক পশু ক্রয়ের নিশ্চয়তা। বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণে কাজ করছে বলে হাটে না গিয়েও ঘরে বসে কোরবানির পশু কেনার এ সুবিধা আজকে আমরা দিতে পারছি।
জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, জীবন ও জীবিকা দুটোকেই রক্ষা করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বাণিজ্য, প্রশাসন এমনকি বিচারিক কার্যক্রম চালু রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা আমাদের ফিজিক্যাল কোরবানির হাটগুলোকে ডিজিটাল হাটে রুপান্তর করেছি। খামারিদের জন্য সারাদেশের সবগুলো জেলা ও উপজেলাসহ যেকোনো গ্রাম থেকে যেন তাদের পশুগুলো ডিজিটাল হাটে উপস্থাপন করতে পারে সে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।