ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দ্বাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
![](https://computerbichitra.com/wp-content/uploads/2025/02/01-9.jpg)
ক.বি.ডেস্ক: বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)- এর দ্বাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে ৩৯৫১ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রী প্রদান করা হয়। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী ১২ জন গ্র্যাজুয়েটকে চ্যান্সেলর, চেয়ারম্যান ও উপাচার্যসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ‘স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হয়।
গতকাল শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সাভারে ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে স্বাধীনতা সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ডিআইউই’র দ্বাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর ড. হাসান দিয়াব।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিআইউই’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। বক্তব্য রাখেন ডিআইউই’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান ও বিভিন্ন অনুষদের ডীনবৃন্দ। ভ্যালিডেকটোরিয়ান বক্তব্য রাখেন টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের গ্র্যাজুয়েট মাশুর সাদ করিম।
সমাবর্তনে চ্যান্সেলর অ্যা ওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন ফার্মেসী বিভাগের আবু ফারহান সিয়াম, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিরিং বিভাগের জাবেদ হাসান, নিউট্রিশান অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের হুমায়রা আসিমা মিম, টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মাসহুর সাদ করিম এবং সফটওয়্যার ইঞ্জনিয়ারিং বিভাগের আশিকুল হক।
উপদেষ্টা প্রফেসর ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, “সমাবর্তনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো আপনাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। এখন আপনাদের অর্জিত শিক্ষা দেশ ও দশের কল্যাণে কাজে লাগানোর পালা। সুতরাং, আজ আপনারা প্রতিজ্ঞা করুণ, আপনারা যা পেয়েছেন, তার বহুগুণ দেশকে ফিরিয়ে দেবার চেষ্টা করবেন। সেই সঙ্গে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনেও অবদান রাখবেন।”
তিনি আরও বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ শিক্ষার আন্তর্জাতিক মান অর্জনে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। বিভিন্ন গবেষণামূলক কার্যক্রমে প্রচুর আর্থিক সহায়তা প্রদান করছেন যা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। ফলশ্রুতিতে বিশ্বখ্যাত স্কোপাস ইনডেক্স ও ন্যাচার ইনডেক্সে বিশ্ববিদ্যালয়টির মযাদাপূর্ন অবস্থান। ড্যাফোডিল যেভাবে এগুচ্ছে আগামীতে আমি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দেখতে চাই।”
![](https://computerbichitra.com/wp-content/uploads/2025/02/02-3.jpg)
ড. মো. সবুর খান বলেন, “ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি ডিজিটাল এবং উদ্যোক্তা পাওয়ার হাউস। প্রযুক্তি-চালিত বিশ্বের জটিলতাগুলো নেভিগেট করার জন্য আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করেছি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে ব্লকচেইন, ই-কমার্স থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এ শিক্ষার্থীরা এখন আধুনিক শিল্পে নেতৃত্ব দেয়ার দক্ষতার অধিকারী। আমাদের উদ্যোক্তা কর্মসূচী যেমন স্টার্টআপ মার্কেট, ঐতিজ্জের হাট এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যাক্সেস শিক্ষার্থীদের তাদের ধারণা বাস্তবে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রযুক্তি শিল্প ও চাকরির বাজারের দ্রুত পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী শিক্ষাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা উদ্ভাবনকে উৎ্সাহিত করে ডিজিটাল রূপান্তর অর্জন করে এবং একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করে এই পরিবর্তনটি গ্রহণ করেছি যা শিক্ষা, গবেষণা এবং সামাজিক অবদানগুলিতে অ্যাক্সেস, ইকুইটি এবং শ্রেষ্ঠত্বকে অগ্রাধিকার দেয়। আমাদের শিক্ষার্থীরা নাসা স্পেস এপস্ চ্যালেঞ্জ এ অংশগ্রহণ করে পর পর তিনবার ফাইনালিস্ট হয়ে প্রমাণ করেছে যে বাংলাদেশি প্রতিভা কোন সীমানা জানে না এবং জাতীয় বিতর্ক চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ইস্পাহানি-প্রথম আলো ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলগত কাজ, মানসিক দৃঢ়তা এবং কৌশলগত উজ্জ্বলতারই বহিঃপ্রকাশ।”
প্রফেসর ড. হাসান দিয়াব বলেন, “ডিআইইউ এমন একটি প্রতিষ্ঠান- শুধু বাংলাদেশের নয়, সমগ্র অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আশার আলো এবং মডেল। ডিআইইউ’র অগ্রগতি-চিন্তা পদ্ধতি, ব্লেন্ডেড লার্নিং সেন্টার, ব্লকচেইন-চালিত ডিজিটাল সার্টিফিকেট সিস্টেম এবং রূপান্তরমূলক, ‘একজন ছাত্র, একটি ল্যাপটপ’ প্রোগ্রামের মতো সাহসী উদ্যোগে যার মাধ্যমে ৬৫,০০০ শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছে- এতে এটাই স্পষ্ট হয় যে-এটা নিছক শিক্ষা নয়; এটা ক্ষমতায়ন, বিভাজন সেতুবন্ধন এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা।”